২০২০-২১ আইএসএল গত ছ’বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে থেকে শুরু করবে। করোনা আবহে দর্শকহীন পরিমন্ডলে নিষ্প্রাণ টুর্নামেন্টে যেন আবেগের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে দিয়েছে কলকাতার দুই প্রধান ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ১১টি দলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রিমিয়র লিগ কিংবা ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে আসা নামীদামি বিদেশি ফুটবলারদের দিকে নজর তো থাকবেই, নজর থাকবে জাতীয় দলের তারকাদের উপরেও।
আইএসএলের মঞ্চেও জ্বলে ওঠার যাবতীয় সম্ভাবনা রয়েছে যাদের দেখে নেওয়া যাক এমনই পাঁচ ফুটবলারকে:
শংকর রায় (এসসি ইস্টবেঙ্গল): ২০১৯-২০ মরশুমে মোহনবাগানকে আইলিগ চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কান্ডারি। টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ক্লিন-শিট ছিল শংকরের দস্তানাতেই। সবুজ-মেরুনের তিনকাঠির নীচে শংকরের অনবদ্য পারফরম্যান্স দেখে মরশুমে শেষে তাঁকে দলে নেয় ইস্টবেঙ্গল।
ফ্রান গঞ্জালেস (বেঙ্গালুরু এফসি): স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ এই মিডমিল্ডার ২০১৯-২০ আইলিগ জয়ী মোহনবাগান দলের অন্যতম প্রাণশক্তি। মাঝমাঠের স্তম্ভ হিসেবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন পাশাপাশি ভরসা দিতে পারেন রক্ষণে। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে গত আইলিগের ১৬ ম্যাচে ১০ গোল করা ফ্রান গঞ্জালেস দূরপাল্লার শটেও সিদ্ধহস্ত।
অজিত কুমার (বেঙ্গালুরু এফসি): চেন্নাই সিটি এফসি থেকে আসা বছর তেইশের এই উইং-ব্যাক’কে বেঙ্গালুরু এফসি’র একাদশে শুরু থেকেই দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
উইং-ব্যাক হিসেবে তাঁর কার্যকরীতা রবি ফাওলারের প্রথম একাদশে তাঁকে ‘অটোমেটিক চয়েস’ বানিয়ে তুলেছে। রক্ষণ সামলানোর পাশপাশি আক্রমণে সাহায্য করতেও সিদ্ধহস্ত চুলোভা। যদিও চোটের কারণে আইএসএলের প্রথম পর্বে তাঁর সার্ভিস হয়তো পাবে না লাল-হলুদ।
লালরামচুলোভা (এসসি ইস্টবেঙ্গল): ইস্টবেঙ্গলে এটি চুলোভার দ্বিতীয় ইনিংস। ২০১৮-১৯ আইলিগে লাল-হলুদ জার্সিতে দুরন্ত পারফর্ম করা এই মিজো ফুটবলার গত মরশুমে ছিলেন মোহনবাগানের আইলিগ জয়ী দলের সদস্য। চলতি মরশুমের শুরুতে ফের পুরনো দলে ফিরে আসেন।