বাইরের রাজ্যের ৫ নেতাকে বাংলার ৫ জেলার দায়িত্ব দিয়েছে বিজেপি। বঙ্গের কোনো মানুষকেই এই দায়িত্ব দেয়নি বিজেপি। এতেই বোঝা যাচ্ছে বাংলা এবং বাংলার মানুষদের সঙ্গে ওয়াকিবহাল নয় বিজেপি। এই ব্যাপারেই মত প্রকাশ করেছেন তৃণমূলের সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সৌগত রায়।
তিনি বলেন, ‘বোঝাই যাচ্ছে, রাজ্য বিজেপি অপদার্থ, তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের আনতে হচ্ছে। রাতারাতি এঁরা এসে কিছু করতে পারবেন না। বাংলাকে এঁরা চেনেন না। বাংলার মাটি সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। ব্লক স্তরের কোনও নেতার নাম জানেন না। আমাদের কাছে এঁদের কোনও গুরুত্ব নেই।’
সৌগত বলেন, ‘বাংলার মাটি চিনতে গেলে বাংলারই নেতা হওয়া দরকার। নির্বাচনে প্রচুর টাকা খরচ করবে বিজেপি। বিজেপি ভাবছে এঁদের দিয়ে বাংলা দখল করা যাবে। কাজটা এত সহজ নয়। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলার যে উন্নয়ন করে চলেছেন, তা বিজেপি নেতারা জানেন না। গ্রামবাংলায় ব্লক থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত তৃণমূলের সংগঠন মজবুত, ঐক্যবদ্ধ। গ্রামের লোকেদের সঙ্গে তৃণমূলের নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। শহরের সঙ্গে গ্রামবাংলার সেতুবন্ধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা দখল করা বিজেপি–র স্বপ্নই থাকবে।’
প্রসঙ্গত, বিজেপি–র দায়িত্ব নিয়ে আসছেন মেদিনীপুরে মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা সুনীল দেওধর, রাঢ়বঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিনোদ সোনকার, উত্তরবঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হরিশ দ্বিবেদী, কলকাতায় দিল্লির বাসিন্দা দুষ্মন্ত গৌতম ও মুম্বইয়ের বাসিন্দা বিনোদ তাওড়েকে নবদ্বীপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০২১–এর বিধানসভায় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। সহকারী পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। এ ছাড়াও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে রয়েছেন অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশ।