গত ৪০ দিন ধরেই চলছে যমে-মানুষে টানাটানি। ধীরে ধীরে শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়েছে। তবুও যুদ্ধ থামেনি। গতকাল থেকে হাসপাতালের বেডে সম্পূর্ণ লাইফ সাপোর্টে থেকে এখনও জীবনের জন্য লড়ছেন ‘ক্ষিদ্দা’। তার আগেই অসুস্থ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংবেদনশীল পোস্ট করলেন ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। যেই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গতকাল অনুপম অসুস্থ সৌমিত্রর একটি ছবি সহ স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন – “নক্ষত্র পতন !!! আলোকময় দীপাবলী’র রাত অন্ধকার করে চলে গেলেন আমাদের সকলের প্রিয় ফেলুদা !!!” কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোন খবর সামনে আসেনি। হাসপাতালের তরফেও এই খবর কোথাও জানানো হয়নি। তা সত্ত্বেও কি করে একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এই ধরণের বিভ্রান্তমূলক পোস্ট করলেন অনুপম, সেই নিয়েই শুরু হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে প্রবলভাবে অবস্থার অবনতি হতে থাকে সৌমিত্রবাবুর। মস্তিষ্কের স্নায়বিক অবনতি, হৃদযন্ত্র ও কিডনির সমস্যা বেড়ে গায়েছিল তাঁর। শ্বাসযন্ত্রেও অস্ত্রোপচার করা হয়। অবশেষে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি। দ্রুত বেড়েছে মস্তিষ্কে স্নায়ুর সমস্যা। প্রবলভাবে বেড়েছে শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা। অবনতি দেখা দিয়েছে কিডনির কার্যেও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবীণ অভিনেতার শারীরিক অবস্থার গতকাল আরও অবনতি হয়েছে। তাঁর হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। অবনতি হয়েছিল স্নায়ুর সমস্যার। কিডনির অবস্থা আরও অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্নায়ু বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন। কোনও ‘মিরাকল’ ছাড়া শারীরিক অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয় বলেও জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এত বড় মাপের একজন অভিনেতাকে নিয়ে এমন ভুল তথ্য পরিবেশন করে সমালোচনার মুখে পড়লেন এই বিজেপি নেতা।