অক্টোবরে দেশের আমদানি ও রফতানির পরিমাণ দুই-ই কমে গিয়েছে। এমনটাই জানা গেল সরকারি পরিসংখ্যানে। খবরটা আরও উদ্বেগের, কারণ ঠিক এক মাস আগেই সেপ্টেম্বরে রফতানির উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছিল। পর পর দু’টি ত্রৈমাসিকে আপাত মন্দার খবর দেওয়ার পর এবার আমদানি ও রফতানি পরিমাণ কমার খবর সামনে এল। অর্থনীতির আকাশে মন্দার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যানে জানানো হয়েছে, গত মাসে দেশের রফতানি ৫.১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই হ্রাসের মূল কারণ আগে যে পরিমাণে ভারত থেকে অন্যান্য দেশে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যাদি, রত্ন, অলঙ্কার, চামড়া, চর্মজাত ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যাদি পাঠানো হত গত মাসে তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। সেপ্টেম্বরের চেয়ে কমেছে আমদানির পরিমাণও। সেই হ্রাসের পরিমাণ আরও বেশি। ১১.৫৩ শতাংশ।
সবচেয়ে বেশি কমেছে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যাদির রফতানি। ৫২ শতাংশ। তার পরেই রয়েছে রত্ন ও অলঙ্কার (২১.২৭ শতাংশ) এবং চামড়া বা চর্মজাত দ্রব্যের রফতানি (১৬.৬৭ শতাংশ)। এ ছাড়াও কফি, সামুদ্রিক পণ্য, ইলেক্ট্রনিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যাদিরও রফতানি গত অক্টোবরে কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। গত মাসে দারুণ ভাবে কমেছে দেশের তেল আমদানিও। ৩৮.৫২ শতাংশ।
তবে কিছুটা আশার কথাও শুনিয়েছে ওই সরকারি পরিসংখ্যান। জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরের তুলনায় চলতি বছরের অক্টোবরে দেশে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ কমে ৮৭১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে যা ছিল কোটি ১ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার।