পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের অট্টহাসের সতীপীঠে রঘু ডাকাতের কালী পুজো বিখ্যাত। রঘু ডাকাতের আরাধ্য দেবীর আরাধনায় করোনার প্রভাব। সতীপীঠে কালীপুজোয় এবার পশুবলি বন্ধ করে দিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। করোনার নিয়ম মেনেই মাস্ক পরে একসঙ্গে পাঁচজন ভক্ত মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দিতে পারবেন।
অট্টহাসের কালী পুজোয় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসনে সকলেই অংশ গ্রহন করেন। কথিত আছে প্রায় দুশো বছর আগে রঘু ডাকাত নদীয়া থেকে ব্রিটিশ পুলিশের তাড়া খেয়ে কেতুগ্রামের অট্টহাসের জঙ্গলে ডেরা বেঁধেছিল। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানে অবাধে লুটপাট চালাত রঘু। এমনকী স্থানীয় ইতিহাস থেকে জানা যায়, চিঠি দিয়ে ডাকাতি করতে যাবার আগে রঘু ডাকাত অট্টহাস জঙ্গলে মা কালীর পুজো করে রওনা দিত। ব্রিটিশ শাসন কালে রঘু তার দল-বল নিয়ে ঈশাণী নদীর তীরে এই জঙ্গলে বছর সাতেক আস্তানা করে ছিল।
বামাক্ষ্যাপা, মোক্ষদা, গিরীশ ঘোষ এই সতীপীঠে থাকা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তন্ত্র সাধনা করেছেন। অট্টহাসের প্রায় তিরিশ একর ঘনজঙ্গলে মধ্যেই থাকা কালীর প্রস্তর মূর্তিকে ঘিরে আজও ভক্তেরা মহাসমারোহে কালীর আরাধনা করেন। জনশ্রুতি আছে এক সময় অট্টহাসের মা কালীকে তুষ্ট করতে রঘু ডাকাত নরবলি দিত। যদিও পরে মা কালীর আদেশেই তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয় বলে জনশ্রুতি আছে।