অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে নামতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে দু’ একদিন তা বেড়ে ৫০ হাজার পেরোলেও বেশিরভাগ দিনই গ্রাফ নামতে থাকে। আবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ১ হাজারের কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিগত কয়েকদিনে বেড়েছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। যার ফলে সুস্থতার হারও পৌঁছে গিয়েছে ৯৩ শতাংশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৬৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৮৭ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৭৯ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার হয়েছে ৪.৮১ শতাংশ।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে প্রথম থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩২৯ জন। মহারাষ্ট্রে কোভিডে মারা গিয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৮২ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কর্ণাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৪ জনের। তিন নম্বরে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানে আক্রান্ত ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৮৩৭ জনের। চার নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্ত ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫২১ জন। মৃত ১১ হাজার ৪৪০ জন। পাঁচ নম্বরে থাকা উত্তরপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৪২৬। মৃত ৭৩০২ জন। ছ’নম্বরে রয়েছে দিল্লী। রাজধানীতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২৮ জন। মৃত ৭৩৩২ জন।
সবমিলিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৮ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃত্যুহার এখন ১.৪৭ শতাংশ। যদিও ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হার শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৭২ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের সাড়ে ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৭ হাজার ৯৯২ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৭১৯ জন।