করোনা আবহের জন্য ভূত চতুর্দশীতে চোদ্দ শাক ও চোদ্দ প্রদীপ হোম ডেলিভারি করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতর। আর এবার বাঙালির কালীপুজো ও ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যেও বিশেষ উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। করোনার কালবেলায় কালীপুজোয় রাত জেগে পুজো দেখা, ভোগ খাওয়া, ভাইফোঁটায় ভাইবোনদের একজায়গায় জড়ো হয়ে আনন্দ করা সবেতেই ভাঁটা পড়েছে।
কারণ বাড়ি থেকে বেরোনো মানেই সংক্রমণের চিন্তা। গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের যা তাণ্ডব তাতে এবারের দুর্গাপুজোর মতোই ফিকে হতে বসেছে দীপাবলি, কালীপুজো, ভাইফোঁটার মতো প্রাণের উৎসবগুলিও। তবে ঘরে বসে নিজের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে এই আনন্দ ভাগ করে নিতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু বাড়িতেও যদি এত সবের আয়োজন করতে হয়, বাড়ি থেকে না বেরিয়ে উপায় নেই। তাতেও একই আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই রাজ্যবাসীর জন্য অভিনব ভাবনা রাজ্য সরকারের।
উৎসবের আনন্দ যাতে এতটুকুও ফিকে না হয় তার জন্য এক ফোনে সব রকম বন্দোবস্ত রাখছে সরকার। বাংলার মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গতকাল থেকেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক আঞ্চলিক উন্নয়ন নিগম। লকডাউনের সময় যেভাবে মানুষকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, ঠিক একই পদ্ধতিতে উৎসবের আয়োজনও করছে সরকার।
কালীপুজোর ভোগ, এমনকী ভাইফোঁটার উপহারও নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে জানালে রাজ্যবাসীর দোরগোড়ায় সরবরাহ করবে সরকার। পাশাপাশি, ভাইফোঁটায় এলাহি খাবারের আয়োজনে থালির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন-র নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে অর্ডার করলেই বাড়িতে বসে পেয়ে যাবেন খিচুড়ি লাবড়া বেগুনি লুচি ও আলু-ফুলকপির তরকারির একটা থালি মাত্র ৩০০ টাকায়। ভাইফোঁটা উপলক্ষে মাত্র ২২০ টাকায় মিলছে স্পেশ্যাল গিফ্টপ্যাকও। তা-ও চলে আসবে বাড়িতে। সরকারের এহেন পদক্ষেপে খুশি রাজ্যবাসীও।