অক্টোবরের শুরু থেকেই দেশে নামতে শুরু করেছে করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ। মাঝে দু একদিন তা বেড়ে ৫০ হাজার পেরোলেও বেশিরভাগ দিনই গ্রাফ নামতে থাকে। আবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও ১ হাজারের কম হচ্ছে। সেই সঙ্গে বিগত কয়েকদিনে বেড়েছে সুস্থ রোগীর সংখ্যাও। যার ফলে বেড়েছে সুস্থতার হারও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৪ হাজার ৮৭৯ জন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হলেন ৮৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৯৫ জন। পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার হয়েছে ৩.৯৪ শতাংশ।
ভারতের কোভিড পরিসংখ্যানে প্রথম থেকেই শীর্ষে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩২৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৪৫ হাজার ৬৮২ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ লাখ ৫ হাজার ৬৪ জন। এবং অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫৮৩ জন। আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে কর্ণাটক। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৯১২ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৭৪ জনের। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ লাখ ৪৯ হাজার ৭০৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬৮৩৭ জনের। চার নম্বরে রয়েছে তামিলনাড়ু। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৫২ হাজার ৫২১ জন। মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৪৪০ জনের।
পাঁচ নম্বরে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ৪২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩০২ জনের। ছ’নম্বরে রয়েছে দিল্লী। রাজধানীতে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩৩২ জনের। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লী, এই ছয় রাজ্যেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫১ লাখের বেশি। অন্যদিকে, সবমিলিয়ে করোনায় এখনও অবধি মোট প্রাণ গিয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৬৮ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৪৭ জনের।
যদিও ভারতে কোভিড আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার হারটা শুরু থেকেই আশাব্যঞ্জক। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট ৮১ লক্ষ ১৫ হাজার ৫৮০ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। যা গোটা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের মোট আক্রান্তের প্রায় ৯৩ শতাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থ হয়েছেন ৪৯ হাজার ৭৯ জন। গত কয়েক দিনে নতুন আক্রান্তের থেকে সুস্থ বেশি হওয়ায় কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এখন দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৫৪৭ জন।