বিগত কয়েক বছর ধরেই সুনীল ছেত্রী, গুরপ্রীত সিং সান্ধুর মত তিনিও ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম মূল্যবান তারকা। কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে দু’বার আইএসএলের ফাইনালে উঠেও এটিকের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে গিয়েছিল তাঁর। চোটের কারণে গত মরসুমে অধিকাংশ সময় মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন। এবছর এটিকে-মোহনবাগানে নাম লিখিয়ে বাজিমাত করতে চাইছেন। সেইমতই গোয়ায় চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। তিনি রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ সন্দেশ জিঙ্ঘান।
জানালেন, চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে তিনি ভীষণ খুশি। সন্দেশ বললেন, “এটিকে-মোহনবাগানে প্রথম বার যোগ দিয়ে আমি দারুণ খুশি। মাঠে ও মাঠের বাইরে এই ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করার আনন্দই আলাদা। এটিকে-মোহনবাগানের অসংখ্য সমর্থকদের আনন্দ দেওয়াই আমার লক্ষ্য হবে।” এর পাশাপাশি প্রথমবার ডার্বি খেলার সুযোগ পেয়েও খুশি তিনি।
ডার্বিতে কি মাঠে নামতে পারবেন? জবাবে তিনি বললেন, “সেটা কোচের প্ল্যানের ওপর নির্ভর করছে। আমি খেলার জন্য প্রস্তুত। ভারতের প্রত্যেক ফুটবলার ও ফুটবলপ্রেমীরা এই ডার্বির গুরুত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। এই ম্যাচের আকর্ষণই অন্য রকম। সব ফুটবলারই ঐতিহ্যের ডার্বিতে নামার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমিও ব্যতিক্রম নই। এটা এমন একটা ম্যাচ, এক মুহূর্তে কেউ যেমন নায়ক হতে পারে, তেমনই খলনায়ক হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।”
গোটা বিশ্বেই এটিকে-মোহনবাগানের অসংখ্য সমর্থক রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যাশা তুঙ্গে থাকাটা স্বাভাবিক। তবে সেই নিয়ে কোনও বাড়তি চাপ অনুভব করছেন না সন্দেশ। বলছেন, “আমি চাপ হিসেবে দেখিই না, মনে করি দায়িত্ব পালন করতে নেমেছি। এই দায়িত্বটা আমাকে আনন্দ দেয়, আমি উপভোগ করি। ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, কাউকে নিয়ে তখনই প্রত্যাশা জন্মায়, যখন তাঁকে মানুষ সম্মান করেন, তাঁর প্রতি আস্থা রাখেন। ভক্তদের প্রত্যাশা রয়েছে কারণ তাঁরা নিশ্চয়ই মনে করেন, আমি এটিকে-মোহনবাগানের মতো দলে নিজের সেরাটা দিতে পারব।”