কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের একটি কারখানায় গ্যাস লিক করে শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা এখনও টাটকা সকলের মনে। এবার সেই স্মৃতিকেই উস্কে দিয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। সেখানে হিমঘরের বিষাক্ত গ্যাস লিক করে গুরুতর অসুস্থ শ্রমিক-সহ ১০ জন। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোট থানার সীমান্তে ২ বি জাতীয় সড়কের ধারে রামনগর গ্রামে ঘটেছে। শুক্রবার সকালে এই গ্যাস লিকের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল ১১ টা নাগাদ জাতীয় সড়কের ধারে রামনগর গ্রামের কাছের এই বেসরকারি হিমঘরের বাতানুকুল যন্ত্রের ভালব ফেটে গ্যাস লিক করে। সেই সময় সেখানে বহু শ্রমিক কাজ করছিলেন। আলু কেনাবেচার কাজে এসেছিলেন কয়েকজন। প্রত্যেকেই বিকট শব্দ শুনতে পান। গ্যাস ছড়িয়ে পড়তেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ১০ জন। অসুস্থদের সঙ্গে সঙ্গে গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে তাঁদের মধ্যে ৯ জনকে পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে।
সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হিমঘরের টেকনিশিয়ান হৃদয় মণ্ডল বলেন, “আমরা তখন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আচমকা খুব জোরে শব্দ শুনতে পাই। তারপরেই ঝাঁঝালো গন্ধে চারপাশ ভরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আ্যামোনিয়া গ্যাস ভরতি ওই টিউবের মুখে জল ঢেলে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাঁঝালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন সকলে। সেসময় কয়েকজন শ্রমিক কাছাকাছি জায়গায় কাজ করছিলেন। তাঁরাও গ্যাসের কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এদিকে, ৪ জন শ্রমিক একটি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। তাঁরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কীভাবে ওই ভালব ব্লাস্ট করল তা এখনও স্পষ্ট নয়। হিমঘরের ম্যানেজার সজল মণ্ডলের কথায়, “অসুস্থদের আমরা তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এখন তাঁরা ভাল আছেন।” দুর্ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “এক্ষেত্রে আমাদের কোনও গাফিলতি নেই। প্রতিবছরই রুটিন মাফিক সব চেক করা হয়। এবছরও হয়েছে। কেন এটা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে।”