বিহারে একক দল হিসেবে সর্বোচ্চ আসন পেয়েছে তেজস্বীর রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তাঁর নেতৃত্বাধীন মহাজোট পেয়েছে ১১০টি আসন। বিহারে ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে সরকার গড়তে দরকার ১২২টি। আর ১২টি যদি ঝুলিতে পুরতে পারে মহাজোট, তাহলে তেজস্বীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কেউ আটকায় না। চেষ্টাটা কিন্তু তেজস্বী এখনও ছাড়েননি।
ওয়েইসির এআইএমআইএম পাঁচটি আসন নিয়ে সমর্থন দিতে পা বাড়িয়েই রয়েছে প্রায়। ভোটের আগে মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে যোগ দিয়েছে জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) এবং মুকেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)। দুই দলই চারটি করে আসন জিতেছে। খবর, এবার এই দুই দলের কাছেই মহাজোটে ফেরার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এমনকী ভিআইপি থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী করারও টোপ দিয়েছেন তেজস্বীরা।
প্রস্তাবের কথা স্বীকার করেছেন দুই দলেরই নেতারা। ভিআইপি এবং এইচএএম – দুই দলের তরফেই জানানো হয়েছে, তাঁরা এনডিএ ছেড়ে যেতে আগ্রহী নন। আরজেডি কিন্তু অনড়। স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছে, এনডিএ-তে থাকলে দুই দল যা সুবিধা পাবেন, মহাজোটে যোগ দিলে তার থেকে বেশিই কিছু হাতে আসবে।
তবে দলীয় নেতাদের আক্ষেপ, ভোটের আগেই যদি কংগ্রেসের বদলে এই দুই দলকে হাতে রাখা যেত, তাহলে আজ তেজস্বীর রথ আটকাত না। এমনকী কংগ্রেসকে ৭০টি আসন না ছেড়ে যদি বাম দলগুলোকে ছাড়ত, তাহলে আজ সমীকরণ অন্য হতে পারত। তবে কথায় বলে, রাজনীতিতে অতীত ভুল থেকেই শিখতে হয়। সেই শেখার সঙ্গে আরও একটি আশা এখনও ছাড়তে পারেনি আরজেডি। বলা তো যায় না, হয়তো ‘ঘরওয়াপসি’ করে ফেললেন খোদ নীতীশ!