বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সপ্তম বারের জন্য ১৬ নভেম্বর, সোমবার, শপথ নিতে পারেন নীতীশ কুমার। যদিও, এই নিয়ে চতুর্থ বার তিনি পূর্ণ মেয়াদের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
বিজেপি ও জনতা দল ইউনাইটেড-এর বরিষ্ঠ নেতারা ইতিমধ্যে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সূত্রের খবর, আগামী সরকার গঠনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে খুব শিগগিরই তাঁরা বৈঠকে বসবেন। যদিও, সেই বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে সরকার গঠনের দাবি নিয়ে কবে তাঁরা রাজ্যপালের কাছে যাবেন, তা স্থির করতে দু’দলের নেতার কথা বলছেন।
২৪৩ সদস্যের বিহার বিধানসভায় ১২৫টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় এসেছে এনডিএ। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জেডি(ইউ) আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। জেডি(ইউ)-এর থেকে অনেক বেশি আসন পায় বিজেপি। ফলে, নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হলেও মন্ত্রিসভার ক্ষমতা হস্তান্তরের ক্ষেত্রে বিজেপি অনেক বেশি সক্রিয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দলীয় একটি সূত্রে খবর, নীতীশ কুমারের নতুন মন্ত্রিসভা কেমন হবে, তা নিয়ে বিজেপি ও জেডি(ইউ)-এর বরিষ্ঠ নেতারা প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু করেছেন। ঠিক হয়েছে, মন্ত্রিত্ব বণ্টনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এনডিএ’র নবনির্বাচিত বিধায়কেরা যৌথ বৈঠক বসবেন। বিজেপি, জেডি(ইউ) ছাড়াও শরিক এইচএএম ও ভিআইপি-র প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। যৌথ বৈঠকের দিনক্ষণ সামনের কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করবে এনডিএ নেতৃত্ব।
জানা গেছে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়সওয়াল ও বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে বুধবার হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা-র সুপ্রিমো জিতন রাম মাঝির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। নীতীশ সরকারে এইচএএম-এর প্রতিনিধিত্ব নিয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে।