তিনি কট্টর হিন্দুত্ববাদী এবং গেরুয়াপন্থী। কয়েক দশক ধরে সক্রিয়ভাবে যুক্ত বিজেপির সঙ্গে। যুক্ত ছিলেন রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গেও। সেই উমা ভারতীই কিনা প্রশংসা করছেন লালুপ্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদবের। বিহারের প্রধান বিরোধী নেতাকে সার্টিফিকেট দিচ্ছেন ‘খুব ভাল ছেলে’ হিসেবে। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই হয়েছে। শুধু তেজস্বীর নয়, নিজের রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেতা কমল নাথেরও সুখ্যাতি করেছেন উমা।
আসলে বিহার ভোটের ফলাফল যাই হোক, ৩১ বছরের তেজস্বী একার হাতে বিজেপি-আরএসএস তথা মোদি-নীতীশের কার্যত অপরাজেয় জুটিকে যে টক্করটা দিয়েছেন, তা মন জিতেছে অনেক নেতারই। ব্যতিক্রম নন উমা ভারতীও। বিহারের ফলাফল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে উমা বলছিলেন, ‘তেজস্বী যাদব খুব ভাল ছেলে। আরেকটু বড় হলেই ও বিহারকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’ যদিও বিজেপি নেত্রী মনে করছেন, এখনই বিহার সামলানোর মতো অভিজ্ঞতা তেজস্বীর হয়নি। তিনি বলছেন, ‘এবারে বিহার একেবারে সামান্য ব্যবধানের জন্য বেঁচে গেল। কারণ তেজস্বী খুব ভাল ছেলে হলেও এত কম বয়সে ও রাজ্য সামলাতে পারত না। সেই লালুই সবকিছুর কেন্দ্রে থাকত। আর লালু সবকিছুর কেন্দ্রে থাকলে বিহারে ফের শুরু হত জঙ্গলরাজ।’
তবে শুধু তেজস্বীর নয়, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা কমল নাথেরও প্রশংসা করেছেন উমা ভারতী। তিনি বলছেন, ‘কমল নাথজি এই নির্বাচনে (মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন) খুব ভাল লড়াই করেছেন। বেশ কৌশলগতভাবে লড়েছেন এবারের ভোটে। হয়তো ওঁর সরকার এতদিন থাকলে এসবের প্রশ্নই উঠত না। মানুষ হিসেবেও উনি খুব ভাল। আমার দাদার মতো।’ কট্টর বিজেপি নেত্রীর মুখে বিরোধী শিবিরের দুই যুযুধান নেতার এই প্রশংসা অনেককেই অবাক করেছে।