সংসদের দুই কক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি বিল আইনে পরিণত হয়েছে। যা নিয়ে আগে থেকেই ক্ষেপে রয়েছে পাঞ্জাব। মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে এখনও সে রাজ্যের কৃষক ও বিরোধীদের আন্দোলন জারি রয়েছে। এবার পাঞ্জাবে পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ফের অসন্তোষের আবহ তৈরি হয়েছে অমরিন্দর সিংয়ের রাজ্যে। সর্বভারতীয় কৃষাণ সংঘবদ্ধ সমন্বয় কমিটি (এআইকেএসসিসি) ঘোষণা করেছে ‘পাঞ্জাবের কৃষকদের দমন’ এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ‘সংহতি দিবস’ পালন করবেন তাঁরা। এমনকী এই দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে এক লক্ষ মেইল পাঠাবেন তাঁরা।
বুধবার সন্ধ্যায় এআইকেএসসিসির একটি অনলাইন সভা শেষে দেশের কৃষক ইউনিয়নগুলি এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এআইকেএসসিসির আহ্বায়ক ভি এম সিং বলেন, ‘অবিলম্বে পণ্যবাহী ট্রেন পুনরায় চালু করার দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে এক লক্ষ ইমেল পাঠানো হবে। এই ইমেলগুলি সারা দেশ থেকে কৃষক-সহ সর্বস্তরের লোকেরা পাঠাবেন।’ তিনি এ-ও বলেন, ‘পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতে না দেওয়া এবং পাঞ্জাবের মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য সার, কয়লা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া, মোদী সরকারের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে এআইকেএসসিসি তীব্র প্রতিবাদ জানায়।’
কীর্তি কিষাণ ইউনিয়নের সভাপতি ডা: দর্শন পাল বলেন, ‘সারাদেশের সকল কৃষক, কৃষক শ্রমিক সংগঠনগুলিকে ১২ নভেম্বরকে সংহতি দিবস হিসাবে পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। অবিলম্বে পাঞ্জাবে ট্রেন চালুর জন্য এবং সাহায্য করার জন্য এক লক্ষ ইমেল পাঠাতে বলা হয়েছে সকলকে। এ জাতীয় প্রতিবাদমূলক পদক্ষেপের ব্যাপকভাবে নিন্দা করা দরকার।’ উল্লেখ্য, কৃষি আইনের প্রতিবাদে পাঞ্জাবের কৃষকরা বলেছিলেন যে তাঁরা কেন্দ্রের চাপের কাছে মাথা নত করবেন না এবং বিক্ষোভ পুরোপুরি শেষ করবেন না। আর তাই সেখানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল পণ্যবাহী রেল পরিষেবা। এক সপ্তাহ আগে রেলের তরফে জানানো হয়েছে পাঞ্জাবের রেল রোকো প্রতিবাদের কারণে এর আনুমানিক ক্ষতি ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।