বুথ ফেরত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে একের পর এক নাটকীয় মোড়ের পর অবশেষে খাতায়-কলমে নীতিশ কুমার জিতলেন বটে। কিন্তু আসনপ্রাপ্তির নিরিখে বিহারের তৃতীয় দল হল তাঁর জেডিইউ। আর এর নেপথ্যে মূলত রয়েছে চিরাগ পাসওয়ান ফ্যাক্টর। চিরাগের লোকজনশক্তি পার্টি হয়তো মাত্র একটি আসন পেয়েছে কিন্তু জেডিইউ-কে হারিয়ে দিয়েছে ২৭ আসনে।
প্রসঙ্গত, ভোটের ঠিক আগেই এনডিএ ছাড়েন চিরাগ পাসওয়ান। তিনি বলেন বিজেপির সঙ্গে সমস্যা নেই কিন্তু নীতিশকে আর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান না। জেডিইউ-এর সব আসনে প্রার্থী খাড়া করে এলজেপি। এবছর ৫.৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। কিন্তু এরকম হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনে অনেক আসনে হার-জিতের মধ্যে ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে এলজেপি।
হিসেব বলছে, ২৭টি বিধানসভা আসনে এলজেপির জন্য হেরেছে জেডিইউ। অর্থাৎ জয়ী প্রার্থী ও জেডিইউ প্রার্থীর মাঝের ব্যবধানের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে এলজেপি প্রার্থী। একই ভাবে ১৭ আসনে আরজেডিকে, ১১ আসনে কংগ্রেসকে, ৪ আসনে ভিআইপিকে, ৩ আসনে সিপিআইএমএলকে ও একটি আসনে বিজেপিকে হারিয়েছে এলজেপি। সবমিলিয়ে ৬৪ আসনে জয়ী ও বিজিত প্রার্থীর ব্যবধানের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে এলজেপি প্রার্থী।
চিরাগকে এভাবে ব্যবহারের জন্য মূলত বিজেপি নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন ক্ষুব্ধ জেডিইউ নেতারা। ভোটের ফলাফল দেখে তাঁরা বলছেন, আজ দলের যে অবস্থা হল, তার জন্য বিজেপিই দায়ী। চিরাগ পাসোয়ানের দলকে জেডিইউ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করায় তারাই। অন্তত ২৫-৩০টি আসনে জেডিইউ প্রার্থীর জেতা অনিশ্চিত করে দিয়েছেন এলজেপি প্রার্থীরা।