আজ, বুধবার থেকে রাজ্যে ৭ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর চালু হলে লোকাল ট্রেন। রেল পরিষেবা চালু হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াতের সুরাহা হলেও হকারদের রুজিরোজগার নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েই গেল। লোকাল ট্রেনে বা স্টেশন চত্বরে হকারদের বিক্রিবাটা এখনও বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। যার ফলে প্রশ্ন উঠেছে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। হতাশায় বহু হকারই প্রশ্ন তুলেছেন, “লোকাল ট্রেন তো চালু হল, আমাদের পেট চলবে কী করে?”
বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হওয়ায় রাজ্যের অন্যান স্টেশনের মতো যাত্রীদের ভিড় দেখা গিয়েছে শিয়ালদহের মতো ব্যস্ত স্টেশনেও। আগের মতো না হলেও প্রতি ট্রেনে সর্বাধিক ৬০০ যাত্রীর ওঠার অনুমতি দিয়েছে রেল। তবে তাতে রাজ্যের সমস্ত রেল স্টেশনের মতো শিয়ালদহেও হকারদের জায়গা নেই। স্টেশন চত্বরেও জিনিসপত্র বিক্রি করা যাবে না। হকারির জন্য ওঠা যাবে না কোনও ট্রেনেও।
এ দিন শিয়ালদহ চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে হকারদের সবক’টি স্টল বন্ধ রয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত রয়েছেন হকারেরা। করোনার আবহে বিক্রিবাটা বন্ধ হলেও ভোর থেকেই যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবে তাঁদের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করছেন। স্টেশন চত্বরে এসে যাত্রীদের হাতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে করার পরিকল্পনা কেন? উত্তরে একজন হকার বলেন, “কোভিড-১৯ থেকে যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখার জন্যই এই কাজ করছি। যাতে যাত্রীরা সুরক্ষিত থাকেন, আমরা স্বাভাবিক ভাবে কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি।”
যাত্রীসুরক্ষার কথা ভাবলেও হকারদের ভবিষ্যতের সুরক্ষায় কী ভাবছে রেল তথা রাজ্য প্রশাসন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। লকডাউনের জেরে এত মাস ধরে রুজিরোজগার বন্ধ হকারদের। শিয়ালদহ স্টেশনেই প্রায় ১ হাজার হকার রয়েছেন। স্টেশন চত্বরে কারও রকমারি দোকানের পসরা, কারও বা খাবারের স্টল। তবে ‘নিউ নর্ম্যাল’-এ রাজ্য জুড়ে ধীরে ধীরে সব পরিষেবা চালু হলেও হকারেরা যে তিমিরে ছিলেন, তাতেই রয়ে গিয়েছেন। গত ৮ মাসে নানা কাজ করে কোনও রকমে সংসার চালালেও লোকাল ট্রেন চালু হওয়ার পরও তাঁদের স্বাভাবিক রুজিরোজগার চালু করার অনুমতি মেলেনি।