বিহারে জেডিইউ-এর থেকে বেশি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। এরপর কি নীতিশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করবে এনডিএ শিবির? উঠেছিল এই প্রশ্ন। বুধবার সকালে বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে নীতিশই হবেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই আসরে নেমেছে শিবসেনা। সঞ্জয় রাউত বলেছেন, এরজন্য শিবসেনাকে ধন্যবাদ জানানো উচিৎ।
গতবছরের মহানাটকের পর মহারাষ্ট্রে শিবসেনা এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে আদর্শগতভাবে বিরোধী এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করে। সঞ্জয় রাউত সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, এমনটা তখনই হয় যখন কেউ কথার খেলাপ করে। তাও আবার জৌটসঙ্গী। বিজেপির বিরুদ্ধে শিবসেনা অভিযোগ তুলেছিল, আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে কথার খেলাপ করে বিজেপি। তাই জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে শিবসেনা। রাউত বলেছেন, ‘আমি টিভিতে শুনছি, বিজেপি কর্মীরা বলছেন নীতীশবাবুই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। নীতীশবাবু এর জন্য আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিত। বিহারে অন্তত কথার খেলাপ হবে না। কারণ, সেটা হলে কী হয় বিজেপিকে হাড়ে হাড়ে টের পাইয়েছিল শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের কথা না রাখলে কী হয় সবাই জানে।’
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ৫৬টি আসনে জয় পায়। কিন্তু ফলাফলের পরে তারা দাবি করে, জোটসঙ্গী বিজেপিকে এবার তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে। সেই প্রতিশ্রুতি ছিল, আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব। কিন্তু বেঁকে বসে বিজেপি। ১০৫টি আসনে জেতা বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকেই মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে অনড় থাকে। তখন জো়ট ভেঙে বেরিয়ে আসে শিবসেনা, এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে তারা। সেই কথা মাথায় আছে বিহার বিজেপির, এমনটাই দাবি রাউতের। তাই কম আসনে জেতা জেডিইউয়ের নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করলে শিবসেনাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত পথ দেখানোর জন্য, মনে করেন রাউত।