শিলচর বিমানবন্দরে এআইইউডিএফ সমর্থকদের ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানের নিন্দা করার পরে এবার মিথ্যা ভাষণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বৈরিতা জাগিয়ে তোলার অভিযোগ উঠল বিজেপি শাসিত আসামের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে।
গত সোমবার গুয়াহাটির ভাঙাগড় থানায় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস। পুলিশ সূত্রে খবর, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ও ৫১১ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এই দুই ধারা ছাড়াও মামলায় উদ্ধৃত করা হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারা।
গত ৫ নভেম্বর এআইইউডিএফ সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শর্মা ও আসামের অন্যান্য বিজেপি নেতারা অভিযোগ করেন, শিলচর বিমানবন্দরে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। সেই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন বিরোধী দলের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, সমর্থকরা ‘আজিজ খান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছিলেন, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিরোধীদের দাবি, সংবেদনশীল বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ দক্ষিণ কেন্দ্রের এআইইউডিএফ বিধায়ক আজিজ আহমেদ খান লোকসভার সাংসদ আজমল খানের সঙ্গে শিলচর বিমানবন্দরে পৌঁছলে আজমলের সমর্থকরা আজিজ খানের নামে স্লোগান দেন।
ঘটনার জেরে ফেসবুকে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্তব্য করেন, ‘এই সমস্ত রাষ্ট্রবিরোধী মৌলবাদীদের হঠকারিতা দেখুন। সাংসদ বদরুদ্দিন আজমলকে স্বাগত জানাতে গিয়ে ওরা পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিচ্ছে। এর থেকেই কংগ্রেসের স্বরূপ প্রকাশ পাচ্ছে, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে যারা এই সব দুষ্কৃতীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। দাঁত-নখ নিয়ে ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করব, জয় হিন্দ।’
শর্মার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন বোরা দাবি করেছেন, সাম্প্রদায়িক বৈষম্যমূলক মন্তব্য করার অভ্যাস হিমন্তের রয়েছে। শিলচর বিমানবন্দরের ঘটনাও তারই জেরে বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি কংগ্রেসের।
ঘটনা হল, বিতর্কিত ভিডিও শেয়ার করার পরের দিন ফেসবুক জানিয়ে দিয়েছে, ‘নিরপেক্ষ সত্যসন্ধানীরা জানিয়েছেন, এই তথ্য ভিত্তিহীন।’ একই সঙ্গে শর্মারল পোস্ট করা ভিডিওটির অটো প্লে অপশন ব্লক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে পরে কোনও ব্যাখ্যা ছাড়াই সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।