ভারত সরকারকে করোনা ভ্যাকসিন বেচার বিষয়ে আলোচনা করছে ফাইজার। চলতি সপ্তাহেই জানা গিয়েছে যে ফাইজারের সম্ভাব্য করোনা টিকা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে।
ফাইজারের মুখপাত্র জানান যে তারা আশা করছেন যে চলতি বছরেই ৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারবেন ও আগামী বছর ১৩০ কোটি ডোজ প্রস্তুত হবে। যে সব দেশের সঙ্গে চুক্তি হবে, তাদের কাছে টিকা পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ফাইজার।
এই মুহূর্তে ভারতে কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নেই ফাইজারের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে করোনা টিকার জন্য উদ্যোগ, সেই Covax-এর সঙ্গেও কোনও বোঝাপড়া নেই ফাইজারের। তবে ভারতে ফাইজারের টিকা আনার ক্ষেত্রে কোল্ড চেইনের অভাব বড় বাঁধা হতে পারে। এই টিকা মাইনাস ৬০ থেকে মাইনাস ৯০ ডিগ্রিতে স্টোর করতে হবে। সেরকম কোল্ড স্টোরেজ ভারতের অনেক জায়গায় নেই। এই কারণেই ফাইজারের থেকে টিকা নিতে ভারত ইতস্তত করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিষ্ঠ কর্তা জানিয়েছে। তবে ফাইজারের দাবি কিভাবে ভ্যাকসিন স্টোর করতে হবে ও লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা তারা করে রেখেছে।
ফাইজার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন যে যত দ্রুত সম্ভব ভারতে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভারতীয় সরকারের সূত্রেও জানা গিয়েছে যে ফাইজারের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে টিকা কেনার জন্য়। অন্য বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।