নবান্ন থেকেই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরকে ঢেলে সাজানোর কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, দক্ষিণেশ্বরে আগেই স্কাইওয়াক করে দেওয়া হয়েছে৷ এবার লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মন্দিরের ঐতিহ্য। নাম না করে এদিন শাহকেও কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কেউ কেউ এসে এখানে শুধু ছবি তুলবেন, কিন্তু কাজ আমরাই করেছি এবং পরেও করব৷ এছাড়াও এদিন নন্দীগ্রাম দিবস উপলক্ষে নবান্ন থেকেই মেদিনীপুরের মানুষদের শুভেচ্ছা জানান মমতা৷
করোনা আবহে শৃঙ্খলা বজায় রেখে এবং সুষ্ঠভাবে দুর্গাপুজো পরিচালনার জন্য শহরের প্রত্যেকটি পুজো কমিটি ও পুলিশকেও এদিন ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সকলকে কালীপুজো, ভাইফোঁটা ও ছট পুজোরও আগাম শুভেচ্ছা জানান মমতা। তিনি বলেন, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো, দিওয়ালি এবং ছট পুজোও ভালো ভাবে ও সুষ্ঠ ভাবে পালন করবেন৷ স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজো করবেন৷ এছাড়াও এদিন সেরা পুজোগুলিকে ৫০ হাজার টাকা, সেরা পুজো মণ্ডপগুলিকে ৩০ হাজার টাকা এবং সেরা প্রতিমার জন্য ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়৷
জেলার পর পুরস্কার দেওয়া হয় কলকাতার ক্লাবগুলিকে৷ কলকাতায় যে ক্লাবগুলি পুরস্কার পেয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ৭৮ পল্লী, কলেজ স্কোয়ার, চরকা বাগান, বালিগঞ্জ বাদামক্লাব, বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী৷ এছাড়াও সেরার সেরা পুরস্কার পয়েছে বকুলবাগান, চক্রবেরিয়া ও ভবানীপুরের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি৷ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান দেওয়ার প্রথা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একাধিক পুজো কমিটি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।