বিহার নির্বাচনে এক্সিট পোলের হিসেবে পুত্র তেজস্বীর নেতৃত্বে দল আরজেডির নেতৃত্বাধীন বিরোধী মহাজোটই এগিয়ে ছিল। সেটা দেখতেই কাল থেকে তাঁর চোখ ছিল টিভির পর্দায়। আজ সকাল থেকেও চোখ ছিল টিভির দিকেই। কিন্তু কিছুক্ষণ দেখার পরই টিভি বন্ধ করে দিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। ততক্ষণে জানতে পেরে গিয়েছেন, মহাজোট নয়, বিহারের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে এনডিএ-ই।
সকালই পরিষ্কার করে দেয় দিনটা কেমন যাবে। পুরনো প্রবাদকে মনে করেই হয়তো অভিজ্ঞ লালু বুঝে গিয়েছিলেন এবারও হল না। আর তারপরই টিভি বন্ধ করে তিনি চলে যান রোদ পোহাতে। করোনার আশঙ্কায় তাঁকে গত আগস্ট মাস থেকে রিমস হাসপাতাল চত্বরে কেলি বাংলোয় রাখা হয়েছে। বাংলোর লনে তাঁকে রোদ পোহাতে দেখা গিয়েছে এদিন বেলা বাড়ার পর থেকেই।
শরীরটা কয়েক দিন ধরেই আরও খারাপ হয়েছে প্রবীণ লালুর। সুগার, হাইপ্রেশারের পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের সমস্যাও তাঁকে ভোগাচ্ছে। এর পিছনে নিশ্চিত ভাবেই বিরাট প্রভাব রয়েছে নির্বাচনের টেনশনের। এবারের ভোটে লালুর কোনও প্রভাবই সেই অর্থে ছিল না। তাঁর দল আরজেডিও তরুণ তেজস্বীকেই ভোটের মুখ করে প্রচারে নেমেছিল। তবুও তাঁর দল আরজেডির আশা ছিল লালু যাদব ৯ নভেম্বর জামিন পেয়ে যাবেন। তারপর ১০ নভেম্বর ভোটের ফলপ্রকাশের সময় ছেলে ও অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকবেন।
কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। এবারের পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ার সময়কালেই জেলেই থাকতে হল তাঁকে। তবে কারাবন্দী অবস্থাতেও লালুপ্রসাদ উদগ্রীব ছিলেন দলের জয় ও পুত্রের সিংহাসন লাভের সম্ভাবনার কথা ভেবে। সোমবারই ছিল তেজস্বীর জন্মদিন। সেদিন ছেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে লালু বলেন, বিহারের মানুষ তাঁর পুত্রকে জন্মদিনের উপহার দেবেন। যদিও এখনও পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত অধরাই থাকতে চলেছে লালুর স্বপ্ন।