করোনা আবহে দেশে প্রথম নির্বাচন সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বিহারে। বাকি গণনা। যা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কমিশন। আগামী বছরের রয়েছে বাংলা-সহ একাধিকা রাজ্যে নির্বাচন। যা নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হচ্ছে। আগামী বছরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেবেন সুশীল চন্দ্র। তার আগে ভোট নিয়েই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানিয়েছেন, সামাজিক দূরত্ব এবং স্যানিটাইজেশনের জন্য বিশ্বব্যাপী চলা গাইডলাইন মেনেই বিহারে ভোট করা হয়েছে। ফলে করোনা নিয়ে সতর্কতাও বজায় রাখা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, বিহারের তৃতীয় পর্যায়ে ৫৭.৯২ শতাংশ ভোট পড়েছে যা ২০১৫-র ৫৬.৬৬ শতাংশের থেকে বেশি। গতবারের থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ এবারের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদি কোভিড-১৯-এর জন্য কোনও ভ্যাকসিন নাও আসে, তবুও সামনের বছরে দেশের রাজ্যগুলির নির্বাচন সময়েই করা হবে। বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র। আগামী বছরে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন রয়েছে, সেখানে বিহারের গাইডলাই অনুসরণ করা হবে। প্রসঙ্গ আগামী বছরে বাংলা ছাড়াও, তামিলনাড়ু, আসাম, কেরালা, পণ্ডিচেরীর নির্বাচন রয়েছে। বিহারের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করাতে পেরে তারাও খুবই আশাবাদী বলে জানিয়েছেন দেশের অন্যতম নির্বাচন কমিশনার।
বিহারে তিন পর্যায়ের নির্বাচনে ২৪০ জনের বেশি করোনা পজিটিভ রোগী ভোট দিয়েছেন, বুথে গিয়ে, বোতাম টিপে। তারা কেউই পোস্টাল ব্যালট ব্যবহার করেননি। এক্ষেত্রে সব পোলিং অফিসাররাই পিপিই কিট পরেছিলেন। করোনা আক্রান্ত ছাড়াও সিনিয়র সিটিজেন, এবং শারীরিকভাবে অক্ষমদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ছিল এবারের নির্বাচনে। এবারের নির্বাচনে প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তত দুটি বুথের পুরো দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মহিলাদের।