আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই ঠিক হয়ে যাবে বিহারের মসনদে কে বসবেন? মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালুপুত্র তেজস্বী যাদব নাকি নীতীশ কুমার? গত ৭ নভেম্বর বিহারে তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই বুথফেরত সমীক্ষায় পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।
বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জেডি (ইউ)-এর এনডিএ জোটের বদলে ক্ষমতা আসতে চলেছে কংগ্রেস ও আরজেডির মহাজোট। সরকার গঠনের জন্য দরকারি ১২২টি আসন তারা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এই পরিস্থিতিতে ভোটের ফল বেরলেই বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা করছে কংগ্রেস। আর তাই পরিস্থিতি সামলাতে দলের দুই শীর্ষ নেতাকে সেখানে পাঠিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
জানা গিয়েছে, ফলাফল বেরনো এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের দুই শীর্ষ নেতা তথা জেনারেল সেক্রেটারি রনদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং অবিনাশ পাণ্ডের উপরেই ভরসা রেখেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। রবিবার দু’জনকে অবর্জাভার হিসেবে বিহারে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দু’জনকে ভোটের ফলাফলের উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। ফলাফলের পরে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন তাঁরা। এছাড়া জোটের অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও যাবতীয় আলোচনা সারবেন সুরজেওয়ালা এবং পাণ্ডে। মূলত বিজেপি তথা এনডিএ-এর বিধায়ক কেনাবেচা রুখতেই দুই শীর্ষ নেতাকে তড়িঘড়ি বিহারে পাঠিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
এদিকে, গত শনিবার নির্বাচন শেষ হওয়ার পর জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও তার ভয়কে উপেক্ষা করে ৭ কোটি মানুষ তিন দফার এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। নীতীশ কুমারের জেডি (ইউ) ও বিজেপির এনডিএ জোট এবং কংগ্রেস ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের মহাগঠবন্ধনের প্রার্থীদের মধ্যে ২৪৩ জনকে বেছে নিয়েছেন। তার মধ্যে টাইমস নাউ-সি ভোটারের সমীক্ষায় প্রকাশিত হয়েছে এনডিএ জোট পেতে পারে ৯১-১১৭টি আসন আর মহাজোট পেতে পারে ১১৮-১৩৮ আসন।