শীতকালে রাজ্যের গ্রামে গ্রামে যে সব মেলা এবং উৎসব পালিত হয়, হস্তশিল্পীদের বাঁচাতে এবার তাতেই জোর দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ বিভিন্ন দফতরকে, জেলায় জেলায় মেলার ব্যবস্থা করতে হবে। তাতে শিল্পীদের যেমন আর্থিক সহায়তা হবে, তেমনি রাজ্যের প্রকল্পগুলিও তুলে ধরা সম্ভব হবে।
এই বিষয়ে নবান্নের এক কর্তা জানান, মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি যে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন তাতে মেলাকে জেলার ব্লকে ব্লকে আয়োজন করতে বলেছেন। এখন এই বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। যাতে শীতের মরশুমে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে মেলাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায়। সুতরাং এই বছর মেলা যে বিশেষ গুরুত্ব পেতে চলেছে তা বোঝাই যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই মরশুমেও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা, কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, হস্তশিল্প মেলা, বাণিজ্য মেলা, খাদ্য মেলা বা উৎসব, গঙ্গাসাগর মেলা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে মেলা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সবটাই হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব বন্ধ আছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়েই কথাবার্তা এবং বিস্তর পরিকল্পনা চলছে।
জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাস থেকেই একাধিক মেলা ও উৎসবের আয়োজন করা হবে কলকাতায়। এমনকী জেলাতেও মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য নানা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাতে মেলার তৈরি শিল্পীদের উপকার হবে। ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারলে একটা বড় রকমের বাণিজ্যের পরিবেশ তৈরি হবে। করোনার জেরে লকডাউন চলায় মানুষের আর্থিক অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তাই এই বিকল্প রাস্তা তৈরি করে মানুষের হাতে রোজগারের ব্যবস্থা করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।