বেশ কিছুদিন আগেই প্রতিবেশী বিজেপি কর্মীর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি সভাপতির ভাইপোর বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই পলাতক সেই অভিযুক্ত। এবার ওই যুবকের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা সাঁটিয়ে দেওয়া হল বাড়িতে। এদিকে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, গোটা ঘটনাই তৃণমূলের চক্রান্ত। যদিও পাল্টা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।
ঘটনার সূত্রপাত মাস ছয়েক আগে। ওই সময় পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘড়ুইয়ের ভাইপোর বিরুদ্ধে কাঁকসার আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের বাবনাবেড়া গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। সুবিচারের আশায় সেইসময়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে গোটা বিষয়টি জানায় নির্যাতিতার পরিবার। লিখিত অভিযোগও দায়ের করে। এরপরই এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত যুবক। অভিযোগ, নির্যাতিতার বাবা এলাকার সক্রিয় বিজেপি কর্মী হওয়া সত্ত্বেও মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দলের তরফেই লাগাতার তাঁকে চাপ দেওয়া হয়।
অভিযোগ, গত মে মাসে স্থানীয় এক বিজেপি কর্মীর ১৬ বছরের মেয়েকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণ করেছিল জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুইয়ের ভাইপো সহদেব ঘোড়ুই। সেই ছবি মোবাইলে তুলেও রেখেছিল সে। তারপর ভয় দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে সহদেবের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার বাবা। ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু করে পুলিশ। আর তারপর থেকেই এলাকাছাড়া অভিযুক্ত।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন পর রবিবার দুর্গাপুর আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তের বাড়িতে সাঁটানো হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্তের দাদা বলেন, “সাত মাস বাড়িতে নেই ভাই। প্রেম ঘটিত ব্যাপারকে রাজনৈতিক রূপ দিয়েছে তৃণমূল। তাদের সঙ্গে বিজেপিরও একাংশ রয়েছেন।” তবে পাল্টা তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সি বলেন, “নির্যাতিতার বাবাকে অভিযোগ তোলার জন্যে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিল বিজেপি। তাই তিনি দোষীর শাস্তির দাবি নিয়ে আমাদের দলে যোগ দেন। আদালত সঠিক পদক্ষেপই নিয়েছে।”