আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল বিরাট কোহলির। শুক্রবার রাতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে নাটকীয়ভাবে ছয় উইকেটে হারিয়ে আইপিএলে টিকে থাকল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে আরসিবি ১৩১ রান তুলেছিল। জবাবে ১৯.৪ ওভারে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন ওয়ার্নাররা। স্কোর বোর্ডে খুব বেশি রান তুলতে না পারলেও একটা সময়ে আরসিবি জোর টক্কর দেওয়ায় ম্যাচ জমে গিয়েছিল। ১১.৫ ওভারের পর হায়দরাবাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ৬৭। কিন্তু চাপের মুহূর্তে দারুণ ব্যাট করলেন ম্যাচের সেরা কেন উইলিয়ামসন (৪৪ বলে নট আউট ৫০)। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন দিনের অন্যতম নায়ক জেসন হোল্ডার (২০ বলে ২৪ নট আউট )। রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা দিল্লীকে হারাতে পারলে ফাইনালে যাবে। হায়দ্রাবাদের বোলারদের মধ্যে মহম্মদ সিরাজ (২৮ রানে ২ উইকেট) কিছুটা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু বাকিরা তাঁকে সেভাবে সাহায্য করতে পারেননি। শেষ ওভারে সাইনি মোটেই আস্থা নিয়ে বল করতে পারেননি। তাই দুই বল বাকি থাকতে উত্তেজক জয় পেয়ে যান হোল্ডাররা।
ম্যাচের শুরুতেই প্রতিপক্ষকে জোর ধাক্কা দেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তিনি ফেরান আরসিবি’র অপর ওপেনার দেবদূত পাদিক্কালকে (১)। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে অ্যারন ফিনচ (৩২) ও এবি ডি’ভিলিয়ার্স রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হায়দ্রাবাদ বোলারদের সামনে। তৃতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৪১ রান। আরসিবি’র মিডল অর্ডারও এদিন ব্যর্থ। শিবম দুবে (৮), ওয়াশিংটন সুন্দর (৫) বড় রান করতে পারেনি। সানরাইজার্সের হয়ে হোল্ডার ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৫ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন।
অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন, এলিমিনেটরে দুর্দান্ত একটা ইনিংস খেলে জন্মদিনের ‘রিটার্ন গিফ্ট’ দেবেন বিরাট কোহলি। এই মরশুমে মূলত তিনি তিন নম্বরেই ব্যাট করছিলেন। এদিন ওপেন করতে নামেন। আচমকা তাঁর এই সিদ্ধান্ত যে একেবারেই সঠিক ছিল না, তা দ্বিতীয় ওভারেই প্রমাণ হয়ে যায়। জেসন হোল্ডারের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে অহেতুক খোঁচা দিয়ে তিনি আউট হন। সাত বলে কোহলির সংগ্রহ মাত্র ৬ রান। তবে আরসিবি’র অপর তারকা এবি ডি’ভিলিয়ার্স অবশ্য কিছুটা হলেও নামের প্রতি সুবিচার করলেন। কঠিন সময়ে ৪৩ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৫৬ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারিয়েছিল সানরাইজার্সও। চোটের কারণে এদিন হায়দ্রাবাদ দলে ছিলেন না দুরন্ত ফর্মে থাকা ঋদ্ধিমান সাহা। তাঁর জায়গায় সুযোগ পান বাংলারই অপর ক্রিকেটার শ্রীবৎস গোস্বামী। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন তিনি। শূন্য রানে সিরাজের বলে ফেরেন শ্রীবৎস। অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও (১৭) উইকেটের পিছনে ডি’ভিলিয়ার্সকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। অন ফিল্ড আম্পায়ার তাঁকে প্রথমে নট আউট দিয়েছিলেন। বিরাট রিভিউ নেন। বদলে যায় সিদ্ধান্ত।