সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে প্রায় রোজদিন বিজেপি ছাড়ছেন বহু মানুষ। আর এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের উপর মানুষ কতটা বীতশ্রদ্ধ। আজও ১০ জন প্রাক্তন পুলিশ অফিসার যোগদান করলেন তৃণমূলে। উল্লেখ্য এনারা প্রত্যেকেই বিজেপির বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ছিলেন।
আজ যারা যোগদান করলেন তারা হলেন সরোজ গজমির, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রী ভুবন চন্দ্র মন্ডল, শ্রী দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, শ্রী, দীপঙ্কর চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, মহম্মদ মোকাফফার হোসেন, স্বপন কুমার মিত্র, তরুন কুমার মিত্র, দীপক কুমার দাস, শ্রী অর্ধেন্দু ভদ্র, ডঃ শুভময় নাগ, ডঃ নাজিবর রহমান, ডঃ রাজেশ দাস, প্রফেসর শান্তনু প্রামাণিক, শ্রীমতী অনিন্দিতা দাস কবির, কাজি আবদুর রহমান, মৌমিতা বসু চক্রবর্তী, কৃষ্ণ চন্দ্র চৌধুরী এবং পার্থ চক্রবর্তী।
যারা বিজেপি ছাড়লেন তারা সকলেই জানিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে থেকে তারা মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না তাই সকলে তৃণমূলে এসেছেন। কাজি আবদুর রহমান বাদুড়িয়ার বর্তমান বিধায়ক, বিজেপি মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি শ্রীমতী মৌমিতা বসু চক্রবর্তী, ২০১৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশের সিনিয়র অফিসার কৃষ্ণ চন্দ্র চৌধুরী, গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পার্থ চক্রবর্তী, অবসর প্রাপ্ত আইপিএস অফিসার সরোজ গোস্বামী, যিনি ১৯৮৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশে একজন ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসাবে জয়েন করেছিলেন। স্পেশাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট হিসাবে তিনি বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছিলেন। ভবানী ভবনেও উল্লেখযোগ্য ভাবে কাজ করেছেন তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনিও একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার, ২০১৭ সালে তিনি কোস্টাল সিকিওরিটির ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের পদে উন্নীত হন। সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনিও একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। ৩০ বছর ধরে উল্লেখযোগ্য ভাবে তিনি কাজ করে গেছেন। তার অবসরের পরে মমতা সরকারের আইজিপি র্যাঙ্কে কাজ করেছেন। তার এহেন কর্মকান্ডের জন্য ২০০৮ সালে প্রশংসা পদক এবং ২০০২ সালে ইউনাইটেড শান্তি পদক পেয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার শ্রী ভূবন চন্দ্র মন্ডল, তিনি রামপুরহাট, বারুইপুর, বারাসাত এবং বেলঘড়িয়ার এসডিপিও ছিলেন। তিনি মালদা জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ ছিলেন। তিনি সিআইডির উচ্চপদের অফিসার হিসাবেও কাজ করেছেন। আইপিএস অফিসার শ্রী দেবকুমার মুখোপাধ্যায়, তিনি ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ হিসাবে অবসর নেন। দীপঙ্কর চক্রবর্তী, তিনি ডেপুটি কমিশনার হিসাবে অবসর নিয়েছেন। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, তিনি কলকাতা পুলিশের অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার হিসাবে অবসর নেন। তিনি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষ কমিটিতেও কাজ করেছেন। মহম্মদ মোকাফফার হোসেন, তিনি আপাতত কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসাবে কাজ করছেন। তিনি সিনিয়রঅ্যাসিট্যান্ট কমিশনার হিসাবে অবসর নেন। শুভময় নাগ,যার চিকিৎসা ক্ষেত্রে ৩০ বছরের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। ডঃ নাজিবুর রহমান মালদার কালিচক কলেজের প্রিন্সিপাল, একই সঙ্গে তিনি অহমীয়া, হিন্দি, আরবী এবং সংস্কৃত ভাষায় দক্ষ। রাজেশ দাস, তিনি বর্ধমান ইউনিভার্সিটির গনজ্ঞাপন বিভাগের প্রধান।
এনারা প্রত্যেকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। আজ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে এনারা তৃণমূলে যোগদান করেন। আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওমপ্রকাশ মিশ্র, নির্মল ঘোষ, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক এবং তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। অনুষ্ঠানটি আজ তৃণমূল ভবনে হয়েছে।