একুশের বিধানসভা নিয়ে আমরা ভাবছিই না। বিজেপি রাজ্যে ২০০ কেন, ২০টি আসনও পাবে না। উত্তর ২৪ পরগনায় শূন্য হয়ে যাবে। হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ বাজারে ঠিক এই ভাষাতেই বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার সুন্দরবনের একেবারে গা ঘেঁষে যোগেশগঞ্জের নেতাজি মাঠে বিশাল জনসভায় বিজেপি থেকে আসা ৫০০ কর্মী-সমর্থকের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন জ্যোতিপ্রিয়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘সুন্দরবন অঞ্চলের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ নজর রয়েছে। আয়লা প্রকল্পের চাল মুখ্যমন্ত্রী বন্ধ করবেন না। এছাড়া আমরা রাজ্যের ১০ কোটি ২৮ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছি। ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাবেন। ২০২১ সালের পর তৃণমূল আবার ক্ষমতায় আসবে। তখন সারা জীবনের জন্য রেশনের ব্যবস্থা হবে। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকেও একদিন স্বীকার করতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন ভুল ছিল।’ জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, ‘২০২১-এর বিধানসভা নিয়ে আমরা ভাবছি না, ২০২৪ নিয়ে আমাদের লড়াই। আমরা নরেন্দ্র মোদীকে ২০২৪-এ হঠাবই।’
জ্যোতিপ্রিয় ছাড়াও ওই জনসভায় ছিলেন রাজ্যের আরেক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ, বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস, দেবেশ মণ্ডল, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ প্রমুখ। চন্দ্রিমা বলেন, ‘মানুষের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাটট্রিক করবেন।’ বিজেপিকে তাঁর কটাক্ষ, ‘দিল্লী থেকে কে তৃণমূলের মৃত্যুঘণ্টা বাজাবে? বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবেন না। ২০২১-এ বাংলায় হবে বিজেপির অন্তিম যাত্রা।’ অমিত শাহের বাংলায় আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা নাটক করার জায়গা নাকি? আপনি এলেন, খেলেন, চলে গেলেন— এসব নাটক এখানে চলবে না।’ গতকালের জমায়েতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁদের উদ্দেশ্যে চন্দ্রিমা বলেন, ‘যে দলে মহিলাদের এত শক্তি, এত সম্মান, তাদের কেউ দুর্বল করতে পারবে না।’ বিধায়ক-ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস বলেন, ‘গোটা বসিরহাট মহকুমা জুড়ে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই হচ্ছে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নজর দিয়েছেন। তাঁর দৌলতেই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেলতে পারছে। বাংলার ক্রীড়াপ্রেমী মানুষকে তিনি এক জায়গায় করেছেন।’