বিজেপি ওদের গোবলয়ের রাজনীতি, গুন্ডামির রাজনীতি আমদানি করতে চাইছে। থাকছেন ফাইভ স্টারে, ছবি তোলার জন্য মতুয়া, আদিবাসীদের বাড়িতে খেতে যাচ্ছেন! আত্মহত্যাকে রাজনৈতিক খুন বলে চালাচ্ছেন। এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন, ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপি এ রাজ্যে ২০০টি আসন পাবে। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের সমালোচনা করেন।
অমিত শাহের অভিযোগ নস্যাৎ করে সুখেন্দুবাবুর বক্তব্য, কেন্দ্রের মন্ত্রী বিরোধীদের গুলি করে মারার কথা বলেছিলেন। আর আপনি এখন গণতন্ত্রের কথা বলছেন! তাঁর কটাক্ষ, ২০০ কেন, ২৯৪ বলতে পারতেন। আরও ভাল হয়। স্বজনপষণ নিয়ে ওঁরা যত কম বলে তত ভাল হয়।
ভাষা সন্ত্রাস করছে এঁরা। পিএম কেয়ার্স ফান্ডের টাকার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষ জানতে চাইলে জানতে পারবেন না কেন?, কোথায় কাজে লেগেছে। মানুষের অধিকার রয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত স্লোগান দিয়ে কতগুলি কয়লা খনি কাকে দিয়েছেন, এগুলো দেখুন।
তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘২৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে দিচ্ছে। সেগুলি তৈরি করেছেন দেশের মানুষ। কয়েক দশক ধরে তাঁরা এগুলি গড়ে তুলেছেন। ২০০-র ওপর রেল স্টেশন বিক্রি করে দিয়েছে কর্পোরেটের হাতে। কোন কর্পোরেটের হাতে? যাঁরা জনগণের টাকা লুট করেছে।’
তিনি প্রশ্ন করেন, আত্মহত্যাকে কেন রাজনৈতিক খুন বলা হচ্ছে? টাকা তছরুপের দায়ে, ব্যর্থ প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যুকে রাজনৈতিক খুন ধরা হলে তো এক হাজার হয়ে যাবে। বাইরে থেকেএসে বাংলার সংস্কৃতি অপমান করবেন, তা হবে না। রাজনৈতিক দুবৃত্তায়ন নিয়ে বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।যখন দিল্লীতে নাগরিক আইনের বিরুদ্ধে পড়ুয়া, অধ্যাপক প্রতিবাদ করছেন, তখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন গুলি মারুন। আর তিনি বলছেন গণতন্ত্র। আপনার মন্ত্রী বিরোধীদের গুলি মারতে বলছেন। ১ শতাংশ ধনীর হাতে ৯০ ভাগ মানুষের সম্পদ রয়েছে।
করোনার সময় দেশের জিডিপি কমছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় শাসকদলের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা কর্পোরেটদের মুনাফা বৃদ্ধি হয়েছে। বিশেষ করে যাঁরা সরকারপন্থী। বলতে গেলে রাত পেরিয়ে যাবে। ছোটলাট যিনি আছে, তোতাপাখির মতো বলছেন, তাঁকে বলা হয়েছে। অমিত শাহ, বিজেপি ওদের গোবলয়ের রাজনীতি, গুন্ডামি এ রাজ্যে রাজনীতি আমদানি করতে চাইছেন। মহিলা সুরক্ষায় রাজ্য নাকি ব্যর্থ। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-কে তথ্য পাঠানো হয়নি। আর তার পরেই বলছেন যিনি ২০১৮ সালের রাজ্য সরকারের তুলে ধরছেন! হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে উত্তর প্রদেশে মহিলাদের ওপর ৫৯ হাজার ৪৪৫টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি। বাংলা তার ধারে কাছে নেই। তিনি মিথ্যের বেসাতি চালাচ্ছেন। মমতা বন্দোপধ্যাকে অপমানের চেষ্টা করছেন।