করোনা পর্বের প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কোমড় বেঁধে কোভিড যুদ্ধ লড়ছে বাংলা। নেওয়া হয়েছে একের পর এক কার্যকরী পদক্ষেপ। এর আগে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোভিড রোগীদের দিনপ্রতি মাথাপিছু খাবার খাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছিল মমতা সরকার। এবার রাজ্যের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেনারেল বেডের পাশাপাশি এইডিইউ এবং সিসিইউ বেডের সংখ্যাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু হাসপাতালকে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
যেমন কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের ৫২টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৬৭০টি বেড হল যার মধ্যে ৯৪টি সিসিইউ ও ১৪৯টি এইচডিইউ বেড। রাজারহাটের সিএনসিআই-এর ৫০টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৪২৫টি বেড হল যার মধ্যে ৫০টি সিসিইউ ও ৫০টি এইচডিইউ বেড। কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ২৩টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ১১০টি বেড হল যার মধ্যে ৪টি সিসিইউ ও ৪৩টি এইচডিইউ বেড।
আবার উত্তর ২৪ পরগনার সাগর দত্ত হাসপাতালের ২৫টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৫০০টি বেড হল যার মধ্যে ১৮টি সিসিইউ ও ৫০টি এইচডিইউ বেড। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সিএমওএইচ-এর প্রস্তাব অনুযায়ী যাদবপুরের কে এস রায় টিবি হাসপাতালের ১৩০টি বেডকে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। তার মধ্যে ৫০টি এইচডিইউ বেড রয়েছে। বাঁকুড়ার ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ৪০টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। তার ফলে এই হাসপাতালে এখন মোট বেডের সংখ্যা ২৫০। তার মধ্যে ১০টি সিসিইউ ও ৪০টি এইচডিইউ বেড রয়েছে।
তপসিকণ্ঠ আয়ুষ হাসপাতালের ১০টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ১১০টি বেড হল যার মধ্যে ৭টি সিসিইউ ও ১০টি এইচডিইউ বেড। বড়মা মাল্টি স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ১০টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ১৫০টি বেড হল যার মধ্যে ১১টি সিসিইউ ও ১০টি এইচডিইউ বেড। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ২০টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ২০০টি বেড হল যার মধ্যে ১০টি সিসিইউ ও ৪০টি এইচডিইউ বেড।
কালিম্পংয়ের ত্রিবেণী ট্যুরিস্ট লজ কোভিড হাসপাতালের ৬টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ১৫০টি বেড হল যার মধ্যে ৬টি সিসিইউ ও ৬টি এইচডিইউ বেড। মুর্শিদাবাদের পুরনো মাতৃসদনের ২৪টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৩০০টি বেড হল যার মধ্যে ২৬টি সিসিইউ ও ৩২টি এইচডিইউ বেড। ঝাড়গ্রামের নাইট শেল্টার কোভিড হাসপাতালের ৫টি বেডকে এইচডিইউ বেড করা হচ্ছে। ফলে এই হাসপাতালে বর্তমানে মোট ৭৫টি বেড হল যার মধ্যে ১০টি সিসিইউ ও ১০টি এইচডিইউ বেড। এভাবেই আরও অনেক কোভিড হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়েছে।