সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের কাছে লিগের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হারের পর রোহিত শর্মা বলেছিলেন, ‘দিনটাকে আমরা মনে রাখতে চাই না। সম্ভবত চলতি মরশুমে এটাই আমাদের সবথেকে খারাপ পারফরম্যান্স।’ আর বৃহস্পতিবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৫৭ রানে হারিয়ে মুম্বই অধিনায়ক প্রবল উচ্ছ্বাসে জানালেন, ‘আমার ধারণা, এখনও পর্যন্ত এটাই আমাদের সেরা পারফরম্যান্স। টানা দ্বিতীয়বার আইপিএলের ফাইনালে উঠতে পেরে ভালো লাগছে। তবে আসল পরিতৃপ্তি মিলবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই। আত্মতুষ্ট হওয়ার জায়গাই নেই। ’
ব্যাটসম্যানদের গড়ে দেওয়া মঞ্চে আগুন ঝরিয়ে মুম্বইয়ের জয় নিশ্চিত করেছেন যশপ্রীত বুমরাহ ও ট্রেন্ট বোল্ট। দুই পেসারের তারিফ করতে গিয়ে রোহিতের বিশ্লেষণ, ‘আমাদের বোলাররা শুরু থেকেই দিল্লীর ইনিংসে জোর আঘাত হেনেছে। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ওরা। বুমরাহ-বোল্ট যুগলবন্দি দারুণ জমে উঠেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওরা ভিন্ন দলের হয়ে খেলে। তাই ওদের পরিকল্পনা ভিন্ন। তবে মুম্বইয়ের জার্সিতে নিজেদের মধ্যে একটা অদৃশ্য বোঝাপড়া গড়ে তুলেছে দু’জন। তার সুফলও মিলছে হাতেনাতে। টি-২০ ক্রিকেটেও অভাবনীয় বোলিং করে ৪টি উইকেট দখল করেছে বুমরাহ। তবে মাথায় রাখতে হবে, প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লি শিবিরে প্রারম্ভিক ধাক্কাটা কিন্তু বোল্টই দিয়েছিল।’
চোট সারিয়ে ফেরার পর দু’টি ম্যাচেই ব্যাট হাতে হতাশ করেছেন রোহিত শর্মা। তবে দিল্লীর বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ম্যাচে অধিনায়কের ব্যর্থতা ঢাকা পড়ে গিয়েছে দলগত সাফল্যের আলোয়। ম্যাচ শেষে সতীর্থদের প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেন ‘হিটম্যান’। তাঁর কথায়, ‘আমাদের দলের ভারসাম্য কত ভালো, তা এই ম্যাচে আরও একবার প্রমাণ হয়েছে। ব্যাটিং-বোলিং সবেতেই প্রতিপক্ষকে টেক্কা দিয়ে সরাসরি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছি আমরা। আগের ম্যাচের হার কোনওরকম রেখাপাত করেনি। দিল্লিকে হারিয়ে স্রেফ ফাইনালে যেতে চেয়েছিলাম। দিনের শেষে সেটাই হয়েছে। এই জয় খেতাবি লড়াইয়ে আগে দলের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়ে দেবে।’ রোহিত সেইসঙ্গে বলেন, ‘আমি দ্রুত আউট হয়ে যাওয়ার পর কুইন্টন ডি’কক ও সূর্যকুমার যাদব যেভাবে শক্ত হাতে হাল ধরেছে, তা সত্যিই অনবদ্য। ঈশান কিষাণও ভালো ব্যাটিং করেছে। ওর দক্ষতার উপর সবসময় আমাদের আস্থা ছিল। ধারাবাহিকভাবে তার মর্যাদা রাখছে ঈশান। আমরা ক্রুনাল এবং হার্দিককেও বলেছিলাম, পজিটিভ ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষ বোলারদের উপর চাপ বজায় রাখতে। ওরাও নিজেদের দায়িত্ব পালনে পুরোপুরি সফল।’