গত ৫-৬ বছরে দেশের কয়েকটি বড় নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী দিনে সেই গতি আরও বাড়বে। আরও বেশি সংখ্যায় বড় বড় এনবিএফসিগুলিকে ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করা হবে। শুক্রবার মুম্বইয়ে এ কথা জানিয়েছেন আরবিআইয়ের ডেপুটি গভর্নর রাজেশ্বর রাও।
প্রসঙ্গত, আর্থিক দুর্নীতির ঘটনা কমানো আর তার সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যার মানুষের কাছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাকে পৌঁছে দেওয়া। আপাতত এই দু’টিই প্রধান লক্ষ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। তাই আরও বেশি সংখ্যায় দেশের বড় ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকেই (এনবিএফসি) ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করতে চায় আরবিআই।
বণিক সংগঠন ‘অ্যাসোচেম’-এর আয়োজনে এনবিএফসি-গুলির একটি শীর্ষ সম্মেলনে আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর বলেন, ‘এনবিএফসিগুলিকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত করলে সেগুলি দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাতে অর্থনীতির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। আবার সেগুলি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পেরেছে বলে তাদের দিয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় মানুষের কাছেও দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পৌঁছনো সম্ভব হবে।’
তিনি জানান ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ থাকবে এনবিএফসিগুলির পরিচালন ব্যবস্থার উপর। তার ফলে অর্থনীতির নিরাপত্তাকেও সুনিশ্চিত করার কাজটা সহজতর হবে। তবে এত দিন ওই এনবিএফসি-গুলি যে ভাবে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছছে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় আসার পর সেই কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।
আরবিআই-এর দেওয়া পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, এনবিএফসিগুলির আর্থিক দায়দায়িত্বের বোঝাটা শেষ পর্যন্ত চাপে দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার ঘাড়েই। কারণ, এই মুহূর্তে এনবিএফসিগুলিই দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা থেকে সবচেয়ে বেশি টাকা ঋণ নেয়। সেই ঋণের অর্ধেকটা জোগায় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি। বাকিটা এনবিএফসিগুলি পায় বিভিন্ন মিউচুয়াল ফান্ড ও বিমা সংস্থাগুলির কাছ থেকে।