আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে গত ২ দিন ধরে চলা প্রবল ডামাডোলের মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। যদিও তাঁকে পদত্যাগ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা। তবে নিজের সিদ্ধান্তে এখনও অনড় রয়েছেন এসপার।
‘নিউইয়র্ক পোস্টে’র প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মতবিরোধ চলছে। কার্যত দু’জনের মধ্যে মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। মূলত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে মার্কিন মুলুক জুড়ে যে বিক্ষোভের ঝড় উঠেছিল, তা সামলাতে ও কৃষ্ণাঙ্গদের সবক শেখাতে সেনাবাহিনীকে নামাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু তাতে সায় দেননি মার্ক এসপার।
মার্কিন রাজনীতিতে ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্টই হোয়াইট হাউসের শীর্ষ কর্তার অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের আমজনতার উপরে দমন-পীড়নের জন্য মার্কিন সেনাদের ব্যবহার করা হবে না। মার্ক এসপারের এমন সিদ্ধান্তে সেইসময় বেজায় চটে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করলে ভোটারদের কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে এমন আশঙ্কায় তখন এসপারকে বরখাস্তের রাস্তায় হাঁটেননি ট্রাম্প।
তবে মার্ক এসপারই প্রথম নয়, এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন জেমস ম্যাটিসও। তাছাড়া আরও বেশ কয়েকজন পদস্থ আধিকারিকও মার্কিন প্রেসিডেন্টের খামখেয়ালিপনায় বিরক্ত হয়ে সরে গিয়েছিলেন। তাঁরা সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সমর্থনও জানিয়েছেন। ট্রাম্পের আমলে যত মন্ত্রী ও শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাকে বহিষ্কার অথবা পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, আমেরিকার ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।