পুয়াবাগান এলাকায় পুরুলিয়া-বাঁকুড়া রাজ্য সড়কের চৌমাথায় থাকা বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। বৃহস্পতিবারই ওই মূর্তিতে মালা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু বিক্ষোভই নয়, শুক্রবার সকালে তৃণমূলের তরফে ওই মূর্তিটিকে জল দিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ করা হয়।
এদিন এই কর্মসূচিতে গিয়ে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টার অরূপ চক্রবর্তীও যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘বিজেপি ভেবেছিল দিল্লী থেকে নেতা আমদানি করে রাজপথে পতাকা, ব্যানার, হোর্ডিং ও পোস্টার লাগিয়ে শহরের দখল নেবে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। জানে না আমরাই আছি, আমরাই থাকবো।’
একই সুর পাবনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শ্যামল সাঁতরার গলাতেও। শ্যামলবাবুও বাঁকুড়া-পুরুলিয়া রাজ্য সড়কের চৌমাথায় বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতি এদিন জল দিয়ে ধুয়ে মুছে সাফ করেন। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের বর্তমান জেলা সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু। তাঁর কথায়, ‘বর্তমান কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদিবাসীদের উন্নয়নে কোনও টাকা বরাদ্দ করছে না। সমস্ত অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে। করোনার আগে ১০০ দিনের কাজেও তেমন টাকা দেয়নি এই জঙ্গলমহলে। বর্তমানে ভোটের আগে রাজনীতি করতে দিল্লী থেকে নেতা আমদানি করছে বিজেপি। আদিবাসীদের ঘরে কলাপাতায় ১৬০০ টাকা কেজির পোস্ত বড়া ও আলু পোস্ত দিয়ে ভাত খেয়ে গেলেন বিজেপি নেতা।’