বাংলার পথেই হেঁটে দীপাবলির আগে এবার নিজেদের রাজ্যে বাজি নিষিদ্ধ করল কর্নাটক সরকার। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। শুক্রবার ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, “কোভিড ১৯-এর কথা মাথায় রেখে রাজ্যে বাজি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাজি পোড়ানোর অনুমতি মিলবে না।” এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজি নিষিদ্ধ করা রাজ্যগুলির তালিকায় আরও একটি নাম সংযোজিত হল।
করোনার সংক্রমণ রুখতে এর আগে, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল দিল্লী সরকার। একই পথে হাঁটে উড়িষ্যা সরকারও। এরপর গত সপ্তাহে রাজস্থান সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কোভিড পরিস্থিতিতে আসন্ন উত্সবের মরসুমে বাজি নিষিদ্ধ থাকবে রাজ্যে। বাজি নিষিদ্ধ হয়েছে বাংলাতেও। হরিয়ানায় আংশিক নিষিদ্ধ হয়েছে এবং মহারাষ্ট্রের সরকার মানুষকে বাজি কোনাবেচা না-করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এরপর বৃহস্পতিবার গোটা নভেম্বর মাস অর্থাৎ উৎসবের মরসুমের বাকি সময়টুকু জুড়ে রাজ্যে বাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে জানায়, দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজো, জগদ্ধাত্রীপুজো এবং কার্তিকপুজোতেও মণ্ডপ ‘নো এন্ট্রি’ই থাকবে। বাজি পুড়িয়ে-জ্বালিয়ে দূষণ ছড়ানো এবং ঠাকুর দেখার ভিড় বন্ধে করোনাকালে বৃহস্পতিবার নজিরবিহীন জোড়া নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ছটপুজোয় জলাশয় ব্যবহার নিয়েও আদালত ১০ নভেম্বর গাইডলাইন বেঁধে দেবে। তবে ছটেও বাজি নিষিদ্ধ। ৩০ নভেম্বর গুরু নানকের জন্মদিনেও। বড়দিন নিয়ে পরে ভাবা হবে। এমনকি বিসর্জনে শোভাযাত্রাও করা যাবে না বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ধাপে ধাপে বিসর্জনের ব্যবস্থা করবে পুলিশই।