করোনা পরিস্থিতিতে যথাযথভাবে যাত্রী পরিবহণ যাতে হয়, সেইজন্য রেলের কাছে উপযুক্ত সংখ্যায় ট্রেনের দাবি করেছিল রাজ্য। তারই প্রেক্ষিতে যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পুলিশও প্রয়োজন বলে রাজ্যকে জানিয়েছে রেল। গতকাল স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও পরিবহণসচিব রাজেশ কুমার সিনহার সঙ্গে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার পর আবার বৃহস্পতিবারও নবান্নে আসেন রেলকর্তারা।
সেখানেই ঠিক হয়, আগামী বুধবার থেকে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চলবে। আপাতত ১৮১ জোড়া অর্থাৎ ৩৬২টি করে লোকাল ট্রেন চালানো হবে। তবে, নতুন কোনও সময়সূচী আপাতত চালু হচ্ছে না। পুরনো সময় সূচী মতোই চলবে ট্রেন। শিয়ালদহ ডিভিশনে অতিরিক্ত ভিড় হওয়ার কারণে ওই ডিভিশনে আপাতত ১১৪ জোড়া অর্থাৎ ২২৮টি ট্রেন, হাওড়া ডিভিশনে ৫০ জোড়া অর্থাৎ ১০০টি লোকাল ট্রেন চলবে। বাকি ১৭ জোড়া অর্থাৎ ৩৪টি ট্রেন চলবে দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশন অর্থাৎ খড়গপুর থেকে।
রেল ও রাজ্য পরস্পরের থেকে কী চাইছে, গতকালের বৈঠকে তাই নিয়েই আলোচনা হয়। রেলের একটি সূত্র জানিয়েছিল, রাজ্য সরকার চায়, ব্যস্ত সময়ে হাওড়া, শিয়ালদহ এবং খড়গপুর ডিভিশন মিলিয়ে ২১০টি ট্রেন চালাক রেল। যদিও নবান্ন এ ব্যাপারে কিছু জানায়নি। কিন্তু এদিন এ বিষয়ে স্পষ্টতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেল। লোকাল ট্রেন চালানোয় রেলকে সহায়তা করতে রাজ্যের প্রয়োজন রেলের এসওপি। অন্য দিকে, রাজ্যের দাবিমতো ট্রেন চালাতে রেলের প্রয়োজন রাজ্য সরকারের থেকে উপযুক্ত পুলিশি সহায়তা। রাজ্যে এ বিষয়ে সর্বত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।
কবে থেকে ফের চালু হবে লোকাল ট্রেন? কোন ডিভিশনে ক’টি করে লোকাল ট্রেন চলবে? কোন ট্রেন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে? কী ভাবে ট্রেনে ওঠা-নামা করতে পারবেন যাত্রীরা? এই সব প্রশ্নের জবাব খুঁজতেই বৃহস্পতিবার নবান্নে আরও একবার রাজ্য-রেল বৈঠক হল। আজই রাজ্য প্রশাসনের কাছে লোকাল ট্রেন চালানোর এসওপি জমা দেয় রেল। ট্রেন চালানোর পদ্ধতি নিয়ে দু’পক্ষের মতের মিল হওয়াতেই লোকাল ট্রেন চালুর দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল।