করোনা সঙ্কটের জেরে সঙ্কটের জেরে ভাটা পড়েছিল শারদোৎসবেও। এবার দীপাবলিতেও সেই ধারা অব্যাহত। এদিকে দেশব্যাপী করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য চিন্তার পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনাল বা এনজিটি। ইতিমধ্যেই আজ হাইকোর্টের নির্দেশে বাংলাতেও নিষিদ্ধ হল বাজি ফাটানো। আর শুধু বাজিই নয়, দুর্গাপুজোর মত কালী জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্ডপেও নো এন্ট্রি রাখা হবে বলে রায় দিয়েছে আদালত।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের বা সিপিসিবি-র পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে ১৮ রাজ্যের ১২২টি শহরে বায়ুমান ক্রমেই নিম্নমুখী হচ্ছে। এমনকী অগাষ্টের মাঝামাঝি সময়ে অবস্থার আরও অবনতি হয়। কর্নাটকের বেঙ্গালুরু, দাভানগেরে, কালবুর্গী এবং হুবলি-ধরওয়াদ শহরে বায়ুমান অনেকটাই নীচে নেমে যায়। এমতাবস্থায় দীপাবলিতে আতসবাজীর যথেচ্ছ ব্যবহার হলে গোটা পরিস্থিতিই যে অন্য মোড় নিতে পারে তা বলাই বাহুল্য।
সূত্রের খবর, দীপাবলি চলাকালীন পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে মামলার শুনানির পরিধি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনজিটি। এদিকে ইতিমধ্যেই আগামী ৭ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাজি পোড়ানো সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ রাখা যায় কিনা, তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। পাশাপাশি দিল্লী, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে নোটিশও পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।