এক বাঙালির লড়াইতেই ভেঙে গেল কলকাতার স্বপ্ন। গতকাল মর্গ্যান-আন্দ্রে রাসেলরা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয় দেখতে চেয়েছিলেন। মুম্বই জিতলেই প্লে অফে খেলার সুযোগ চলে আসত কলকাতার কাছে। কিন্তু কলকাতার স্বপ্ন ভেঙে দিলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা এবং হায়দ্রাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। অজি ওপেনার ৮৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। ঋদ্ধিও ৪৫ বলে অপরাজিত থেকে যান ৫৮ রানে। দাপটের সঙ্গে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
২০১৪ সালের আইপিএল ফাইনালে কেকেআরের বিরুদ্ধে ১১৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋদ্ধি। আজও চোখের সামনে ভাসে ক্রিকেটপ্রেমীদের। যদিও সে বার শেষ হাসি হেসেছিল নাইটরাই। তখন অবশ্য ঋদ্ধির জার্সির রং ছিল অন্য। তিনি তখন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। শারজায় কমলা জার্সিতে ঋদ্ধি হয়তো সে দিনের প্রতিশোধ নিলেন। বাংলার ছেলে হয়েও কলকাতার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে না থাকার যন্ত্রণা ভুললেন। ঋদ্ধিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি অবধারিত ভাবে এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাবেন। তিনি তো কেবল পারফরম্যান্সই করে এসেছেন। কথা বলেছেন কম।
চলতি আইপিএলে তিনি ওপেন করতে নামার পর থেকেই সিদ্ধিলাভ হয় হায়দ্রাবাদের। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন থেকে জনি বেয়ারস্টো ও ওয়ার্নার ওপেন করছিলেন। ঠিকঠাক গতি পাচ্ছিল না ইনিংস। ওয়ার্নারকে দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি নিজের সেরা ছন্দে নেই। ঋদ্ধি ওপেন করতে নামার পর থেকেই বদলে গেল দলের চেহারা। বদলে গেল ওয়ার্নারের ব্যাটিং। দিল্লী ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে মারমুখী ৮৭ রানের ইনিংস খেললেন বাংলার উইকেট কিপার। তার আগে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। সেটাও আবার পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। নেমেছিলেন মিডল অর্ডারে। রান আউট হওয়ার আগে করেন ৩০ রান। দিল্লীর বিরুদ্ধে আচমকাই তাঁকে পাঠানো হয় ওপেন করতে। এখনও পর্যন্ত ৪ ম্যাচে ২১৪ রান করেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে ২টি পঞ্চাশ। ওই ৪টি ম্যাচেই নিন্দুকদের জবাব দিয়ে দেন। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে তো কত কথাই না বলেছিলেন সমালোচকরা। কম কথার মানুষ তিনি। পারফরম্যান্স তাঁর হয়ে কথা বলে এসেছে সব সময়।