বিহারের শেষদফা ভোটের আগে ফের ইভিএম নিয়ে কটাক্ষ রাহুল গান্ধীর। বললেন, ‘ওটার নাম ইভিএম নয় এমভিএম। অর্থাৎ মোদি ভোটিং মেশিন!’ প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির ইঙ্গিত, বিহারের ভোটেও ইভিএম কারচুপি হতে পারে। তবে, তা সত্ত্বেও বিহারে ‘পরিবর্তন’ আসবে।
ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন প্রথমবার উঠেছিল ২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের পর। ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিএসপি নেত্রী মায়াবতী দাবি করেন, ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। পরে সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবও মায়াবতীর সুরে সুর মেলান। তারপর একাধিকবার ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীরা ব্যালট পেপার ফেরানোর দাবিতে যৌথভাবে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। কমিশন আবার পাল্টা বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ করেছে, পারলে ইভিএম হ্যাক করা যায়, তা প্রমাণ করে দেখান। সেই চ্যালেঞ্জ আবার কোনও বিরোধী দল গ্রহণ করেনি। যার ফলস্বরূপ এখনও ইভিএমেই নির্বাচন হচ্ছে ভারতে।
২০১৯ লোকসভা ভোটে হারের পরও কংগ্রেস ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। আর বিহারে ভোট শেষ হওয়ার আগেই সেই প্রসঙ্গ উঠল। এক নির্বাচনী জনসভায় রাহুল গান্ধী বললেন, ‘ইভিএম! ওটা ইভিএম নয়, ওটা এমভিএম, মোদী ভোটিং মেশিন। এখানে ‘ই’ টা এমনিই লেখা আছে। ওটা আসলে মোদী ভোটিং মেশিন। কিন্তু এবার বিহারে যুবসমাজের মধ্যে একটা ক্ষোভ কাজ করছে। যুবসমাজের মনে রাগ আছে। তাই সেটা ইভিএম হোক বা এমভিএম হোক। মহাজোট জিততে চলেছে।’ কংগ্রেস নেতা এদিন রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে বলেন, মোদী ভোটিং মেশিন হোক বা মোদীর সংবাদ মাধ্যম, কাউকেই তিনি ভয় পান না।