২০২০-২১ মরশুমেও স্প্যানিশ মিডফিল্ডার হাইমে কোলাডো ও ফিজিক্যাল ট্রেনার কার্লোস নোদারের সঙ্গে চুক্তি ছিল ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু লাল-হলুদের সাবেক কর্তারা নতুন মরশুমে তাঁদের রাখতে কোনও উদ্যোগ নেননি। যার পর দু’জনেই ফিফার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা চিঠি পাঠিয়ে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে জানিয়ে দেয়, ওই দু’জনের সঙ্গে দ্রুত রফা করতে হবে। ফিফার বক্তব্য, কোলাডো ও নোদারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিটিকে সম্মান জানানো হোক। নয়তো তাঁদের এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে পুরো ব্যাপারটি মিটিয়ে নিক ইস্টবেঙ্গল।
মঙ্গলবার শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এক শীর্ষ কর্তা বললেন, “আমরা লাল-হলুদ কর্তাদের ফিফার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি। কোলাডো ও কার্লোসের সঙ্গে চুক্তি কোয়েসের আমলে হয়েছিল। সমস্যা তাই সাবেক কর্তাদেরই মেটাতে হবে। এই সমস্যা মেটানোর দায় কোনওভাবেই আমাদের নয়। তবে ক্লাব যদি সাহায্য চায় তবে আমরা পাশে থাকব। আইএসএলের বেশ কিছু দল সময় মতো বিদেশি কোচ ও সাপোর্ট স্টাফ এনে প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেনি। দেরিতে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছি। আমরা খেলাতেই মনঃসংযোগ করতে চাই। বিশেষত আইএসএলের প্রথম ম্যাচেই এটিকে মোহন বাগানের বিরুদ্ধে খেলতে হবে আমাদের। তাই আমরা চাই, প্রতিযোগিতা শুরুর আগে কোলাডো ও কার্লোসের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়া হোক।”
তবে এই ইস্যুটি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখছেন সাবেক কর্তারাও। সমস্যা মেটাতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে চলেছে ক্লাব। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে লাল-হলুদ শিবিরে রয়েছেন ২৮ জন ফুটবলার। চিফ কোচ রবি ফাউলারের সাপোর্ট স্টাফের সংখ্যা ছয়। মঙ্গলবার প্রত্যেকেরই করোনা টেস্ট হয়। প্রত্যেকের টেস্টের ফলই নেগেটিভ এসেছে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবির।