রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্লে-অফে জায়গা পাকা করল দিল্লী ক্যাপিটালস। ১৪টি খেলে তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট। সমসংখ্যক ম্যাচে আরসিবি’র পয়েন্ট ১৪। কিন্তু নেট রান রেট ভালো থাকায় হেরেও বিরাট কোহলিরা শেষ চারে পৌঁছালেন। প্লে-অফে চতুর্থ দল ঠিক হবে মুম্বই-হায়দ্রাবাদ ম্যাচের ফলের ভিত্তিতে।
টস জেতার পর ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত জানাতে বেশি সময় নেননি দিল্লীর ক্যাপ্টেন শ্রেয়াস আয়ার। তবে আরসিবি’র শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। ওপেনার লুই ফিলিপে মাত্র ১২ রানে রাবাডার বলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দেবদূত পাদিক্কাল ও ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন দিল্লির বোলারদের সামনে। তবে ১৩ রানে কোহলির সহজ ক্যাচ ফেলেন নর্টজে। না হলে আরও চাপে পড়ে যেত আরসিবি। যদিও বিরাট সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় রান করতে ব্যর্থ। ২৪ বলে ২৯ রান করে তিনি অশ্বিনের বলে স্টোইনিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডাগ-আউটে ফেরেন। তরুণ দেবদূত ৪১ বলে করেন অনবদ্য ৫০ রান। তার সুবাদেই আরসিবি ৭ উইকেটে ১৫২ রান তুলতে সক্ষম হয়। পাঁচটি বাউন্ডারি রয়েছে দেবদূতের ইনিংসে। নর্টজের বলে বোল্ড হন তিনি। এবি ডি’ভিলিয়ার্সকেও তেমন মারমুখী মেজাজে পাওয়া যায়নি। ইনিংসের গতি বাড়াতে গিয়ে ৩৫ করে রান আউট হন তিনি। ক্রিস মরিসকে খাতা খোলার সুযোগ দেননি নর্টজে। ১৭ রান করেন শিবম দুবে। দিল্লির দুই তারকা পেসার রাবাডা (২টি) ও নর্টজে (৩টি) ভালো বল করেছেন।
দিল্লীর সামনে ১৫৩ রানের টার্গেট রেখেছিল আরসিবি। শুরুতেই পৃথ্বী সাউয়ের (৯) উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে জাঁকিয়ে বসার চেষ্টা করে বিরাট বাহিনী। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দেন শিখর ধাওয়ান-অজিঙ্কা রাহানে। শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন ধাওয়ান। সুযোগ পেলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা যোগ করেন ৮৮ রান। তাঁদের যুগলবন্দি কোহলিদের মুখের হাসি কেড়ে নেয়। ধাওয়ান ৪১ বলে তোলেন ৫৪ রান। ছ’টি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন। তিন নম্বরে নেমে অজিঙ্কা রাহানের সংগ্রহ ৪৬ বলে ৬০ রান। তিনি পাঁচটি চার ও একটি ছক্কা মেরেছেন। শ্রেয়াস (৭) অবশ্য ব্যর্থ। ঋষভ ৮ ও স্টোইনিস ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের কড়ি জোগাড় করে নেয় দিল্লী(১৫৪/৪)।