মার্কিন প্রার্থীদের জন্য এ দেশে পুজো আচ্চার বিষয়টা অবশ্য নতুন নয়। এর আগে হিলারি ক্লিন্টনের জয় চেয়ে চেন্নাইয়ের একাধিক মন্দিরে পুজো হয়েছিল। আর এবার তো নির্বাচন লড়ছে ঘরের মেয়ে। যার ফলে তাঁর জয় প্রার্থনা করে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে মন্দিরে ভিড় জমিয়েছেন তামিলনাড়ুর গ্রামের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সেই গ্রামের মন্দিরে চলছে বিশেষ পুজো, যাগ-যজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, আগামী চার বছর কার দখলে থাকবে হোয়াইট হাউস? ট্রাম্প নাকি বিডেন, কে ধরবে করোনা বিধ্বস্ত আমেরিকার হাল? তা ঠিক করতে আমেরিকায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ পর্ব। মার্কিন মুলুকের সেই নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে তামিলনাড়ুর থিরুভারুর জেলার পাইগানাডু গ্রামের বাসিন্দারাও। কারণ, এই গ্রামের আদরের ‘নাতনি’ যে বিডেন ক্যাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী।
ডেমোক্র্যাট শিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের দাদু পিভি গোপালন ছিলেন তামিলনাড়ুরর এই গ্রামের বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ ভারতের পাইগানাডু গ্রামে এসেছিলেন কমলা হ্যারিসও। পরে অবশ্য তাঁর দাদু এই গ্রাম ছেড়ে চলে যান। তবু মন্দির ও গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ অটুট। মন্দিরে নিয়মিত অনুদান দেন তাঁরা। ২০১৪ সালে কমলা হ্যারিসের নামে মন্দিরে অনুদান দেওয়া হয়েছিল।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই গ্রামের ধর্মশাস্ত্র মন্দিরে জড়ো হয়েছেন গ্রামবাসীরা। চলছে বিশেষ পুজো ও অভিষেকের নিয়মনীতি। গোটা গ্রাম ছেয়ে গিয়েছে হ্যারিসের জয় কামনার পোস্টার-ব্যানারে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে কমলা হ্যারিস ক্যার্লিফোর্ণিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল পদের জন্য যখন লড়েছেন তখনও চেন্নাইয়ের মন্দিরে ১০৮ নারকেল ফাটানো হয়েছিল। জয়ও পেয়েছিল তিনি। এবারও তিনি জিততে পারবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।