করোনা আবহে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা লকডাউনের ধাক্কায় তীব্র মন্দা দেশীয় অর্থনীতিতে। বর্তমানে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হলেও এখনও নিদারুণ অর্থকষ্টে দিন গুজরান করতে হচ্ছে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের। যার ছাপ পড়েছে এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লী সোনাগাছিতেও। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘ দু’মাসের বেশি সময় ধরে কঠোর লকডাউন লাগু থাকায় বন্ধ ছিল ব্যবসা। আর তার ফলে এদিক ওদিক থেকে ধার করেই দিন গুজরান করতে হয়েছে সোনাগাছির মেয়েদের। এমতাবস্থায় সদ্য প্রকাশিত একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ঋণের বোঝায় জর্জরিত সোনাগাছির ৮৯ শতাংশ যৌনকর্মীই।
অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং অর্গানাইজেশনের নামের একটি এনজিও-র সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে দেনার করাল ফাঁস গলায় চেপে বসার কারণেই যৌন পেশা থেকে অব্যাহতি চাইছেন সোনাগাছির প্রায় ৭৩ শতাংশ মেয়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রুটি-রোজগারের সংস্থানের একমাত্র রাস্তাও সেই এই পেশার কারণে। সেখানেও মন্দার কালো মেঘ ছেয়ে গেলেও এখনও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের কথা বলছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, সোনাগাছিতে কাজ করেন প্রায় ৭ হাজার আবাসিক যৌনকর্মী। কিন্তু মার্চের লকডাউনের পর থেকেই প্রায় খরিদ্দার শূন্য চেহারা হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই রেডলাইট এরিয়ার। জুলাইয়ের পর থেকে ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। সদ্য প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে ওই সময়ের পর ফের কাজ পান প্রায় ৬৫ যৌনকর্মী। কিন্তু পরিস্থিতি পুরোদমে স্বাভাবিক হতে এখনও কতদিন সময় লাগবে তা সঠিক ভাবে কেউই বলতে পারছেন না।