জলাভাবেই ভুগবে দেশের মানুষ। আগামী কয়েক দশকের মধ্যেও জলের অভাব বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ভারতে। আর তার ফল ভোগ করতে হতে পারে দিল্লী, লুধিয়ানা, জয়পুর, অমৃতসরের মতো ভারতের ২৬ শহরকে। এমনই আভাস দেওয়া হয়েছে ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফান্ড ফর নেচারস ওয়াটার রিস্ক ফিল্টার-এর সমীক্ষায়। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা না নিলে এরকম সমস্যায় ভুগবে দুনিয়ার একাধিক শহরও।
কেমন সমস্যা? প্রকৃতিক এই সম্পদের অপব্যবহার ও তার দূষণের ফলে জলে লবনের মাত্রা আরও বাড়াতে পারে। এর পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ কমা, দূষণ তো রয়েইছে। এছাড়াও, নদীর গতিপথ পরিবর্তন, বন্যা দেখা দিতে পারে। ২০৫০ সালের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিম ভারতের এক বড় অংশকে এরকম সমস্যায় পড়তে হতে পারে। ওই সংস্থার সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে, ভারতে আবহাওয়ার বদল, অস্বাভাবিক ভূমিক্ষয়, বনাঞ্চল কেটে ফেলা, বায়ুদূষণ, শিল্প থেকে দূষণ, নর্দমার জল ও কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কীটনাশক ভারতের ভূগর্ভস্থ জল ও পরিবেশের জলের ওপরে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতে সংস্থার ডিরেক্টর সেজাল ওরাহ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভারতের পরিবেশ ভবিষ্যতে কেমন থাকবে তা নির্ভর করছে দেশের শহরগুলির ওপরে। দেশে দ্রুত শহরের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দেশের বহু জলসম্পদ নষ্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে শহরের যে জলসম্পদ রয়েছে তা ভারতকে কিছুটা বাঁচাতে পরে। নাহলে সামনে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে ভারতের জন্য।