কালীপুজোর আগেই সমস্ত কোভিড বিধি মেনে লোকাল ট্রেন চালু করতে সহমত হয়েছে রাজ্য সরকার ও রেল কর্তৃপক্ষ। গতকালই দুই তরফের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকে ঠিক হয়, ট্রেনে যত যাত্রীর বসার ব্যবস্থা আছে, তার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে প্রথমে অন্তত ১০-১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালানো হবে। আর সোমবারের বৈঠকের পর মঙ্গলবার ফের রাজ্যের তরফে চিঠি দেওয়া হল রেলকে। স্বরাষ্ট্র সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এদিন রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখায় পর্যাপ্ত লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্র সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বুধবারই আবার নবান্নতে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন। ১৫ শতাংশ যথেষ্ট নয়, আরও বেশি করে লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রাজ্য সরকার। তা না হলে সমস্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা নবান্নের কর্তাদের, তাতে কোভিড বিধিও লঙ্ঘিত হতে পারে। ফলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এই বৈঠকে হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম ও চিফ অপারেশনাল ম্যানেজার থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে রেল ট্রাফিক ও বেশি সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে আলোচনা হবে। আপাতত সকাল সন্ধ্যে মিলিয়ে প্রায় ২১০ টি লোকাল ট্রেন চলুক। এমনটাই রাজ্য জানিয়েছে রেলকে।
সূত্রের খবর, ৭ নভেম্বর থেকে লোকাল ট্রেন চালুর ব্যাপারে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা হয়েছে। তবে কোন লোকাল কখন এবং দিনে কতগুলি ট্রেন চলবে, কোভিড বিধি মেনে যাত্রীদের ওঠানামার ব্যাপারে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, টিকিট কাটার কী বন্দোবস্ত থাকবে- এই বিষয়গুলি চূড়ান্ত করে রেল ও রাজ্য আগামী ৫ নভেম্বর ফের বৈঠক করবে। তার আগেই অবশ্য বুধবার ফের বৈঠকে বসছেন দুপক্ষ। তবে, ৫ নভেম্বরের বৈঠকেই চূড়ান্ত দিনক্ষণ ও গাইডলাইন ঘোষণা হবে।