‘কাশ্মীর সমস্যার জন্য নেহরুর দিকে আঙুল তোলা উচিৎ নয়। তা একরকম ভাবে রাজনৈতিক প্রচারই বটে।’ বিজেপিকে নিশানা করে এমনই মন্তব্য করলেন শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’র একটি প্রতিবেদনে সঞ্জয় রাউত লেখেন, ‘কাশ্মীর সমস্যার সমাধান খুঁজতে এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে অনেক প্রয়াস চালিয়েছিলেন নেহরু। একইভাবে চেষ্টা করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীও। পন্ডিত নেহরু এবং তৎকালীন নেতাদের বিরুদ্ধে কাশ্মীর ইস্যুতে নমনীয় মনোভাব দেখানোর যে অভিযোগ তোলা হয়, তা সঠিক নয়। রাজনৈতিক স্বার্থে ইতিহাস বদলে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়ে গেছে।’
১৯৫৩ সালে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে পন্ডিত নেহরুর রোষে পড়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন উপত্যকার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা। বক্তব্যের প্রমাণ-স্বরূপ এই ঘটনার উল্লেখ করতে ভুললেন না সঞ্জয় রাউত। পাশাপাশি বলেন, পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ে কাশ্মীরে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার প্রয়াস চালিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী–অমিত শাহরা।
সম্প্রতি মেহবুবা মুফতি বলেন, অনুচ্ছেদ ৩৭০ ফিরিয়ে না দিলে কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে দেবেন না তিনি। মুফতির এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে রাউত বলেন, গ্রেফতার করা উচিত ওনাকে।
কাশ্মীরি পন্ডিতদের পাশে দাঁড়িয়ে রাউত লেখেন, গতবছর জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করে প্রচার চালানো হয়েছিল, ৪০ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতকে তাঁদের জমিতে ফিরে যেতে দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত কোনও কাশ্মীরি পন্ডিতই উপত্যকায় ঢুকতে পারেননি।
সম্প্রতি শ্রীনগরের লাল চকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হতে হয় এক যুবককে। এ প্রসঙ্গে রাউত বলেন, ‘ওই অঞ্চলে যদি জাতীয় পতাকা উত্তোলনই করতে না পারি আমরা, তাহলে আর কী দরকার ওই অঞ্চলের?’