গতকাল সকালে নদীয়ার গয়েশপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ১ বিজেপি কর্মীর দেহ। এরপরই কোনওরকম প্রমাণ ছাড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে সরব হয়ে ওঠে বিজেপি। মুহূর্তে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তখনই বিজেপি নেতৃত্ব সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য কল্যাণী বন্ধের ডাক দেয়। থানা ঘেরাও কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করে। যদিও বিজেপির ডাকা কল্যাণী বন্ধের প্রভাব তেমন পড়লই না এলাকায়। এমনকি ১২ ঘণ্টার বন্ধে অধিকাংশ সময়েই সচল ছিল যান চলাচল।
গতকাল এই নিয়ে দিনভর উত্তেজনা ছিল গয়েশপুরে। এরপর সন্ধেবেলাও স্থানীয় বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানেই জগন্নাথ সরকারের অনুগামীদের স্লোগান দিতে শোনা যায়, “এবার থানা জ্বলবে।” বিজয় শীলের মৃত্যু নিয়ে কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেন, “রাজ্যে বিজেপির প্রভাব বাড়ছে, তাই আতঙ্ক তৈরি করতে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে।” তারপরই আজ কল্যাণীতে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বিজেপির ডাকা কল্যাণী বন্ধের তেমন প্রভাব পড়ল না। সকালে বন্ধ সমর্থনের জন্য মিছিল বের করেছিলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া পড়েনি। যানচলাচল একেবারেই স্বাভাবিক ছিল কল্যাণীতে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদেরও আর কোথাও দেখা যায়নি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপির বন্ধকে আদৌ গুরুত্বই দেননি সাধারণ বাসিন্দারা। ফলে এবারও বিজেপির ডাকা বন্ধ কার্যত ‘সুপার ফ্লপ’।