আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বেকার হতে চলেছেন বহু মানুষ। তারা নিজেরা বিষয়টি বুঝতে পারলেও,আপাতত রোজগার রয়েছে বলেই খুব একটা ভাবছেন না। সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায়, এই পেশার ওপর নির্ভর করে জীবিকা অর্জন করেন প্রায় ১ কোটির কাছকাছি মানুষ। গাড়ি যেভাবে দিনের পর দিন উন্নত মানের প্রযুক্তিতে তৈরি হচ্ছে, বিশেষ করে ২০০০ সালের পর থেকে। তাতে অনেকটা বিপদে পড়েছে চার চাকার গাড়ি সরানোর মেকানিকেরা।
প্রতিটি গাড়িকে ই সি এম এবং পি সি এম নামে দুটি সার্কিট বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে। এই দুটি খারাপ হলে, সেই গাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে অচল হয়ে যায়। গাড়ির মালিক কিংবা ড্রাইভার এই বিষয়ে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। সঙ্গে গ্যারাজের মিস্ত্রিরা। এটা নিঃসন্দেহে মেরামত যোগ্য। সেটা মেরামত করতে গেলে কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারে যেতে হবে। সেখানে গেলেই চালু গ্যারাজের মিস্ত্রির ক্ষতি। তাই প্রতিটি মিস্ত্রি গাড়ির মালিককে দিয়ে নতুন আর একটি সার্কিট কিনিয়ে নেয়। ফলে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাড়ির মালিকেরা। চালাকি করে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে ওই মিস্ত্রিরা।
অটো মোবাইল না পড়ে আগামী দিনে কেউ গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করতে পারবেন না।
এমনই নিয়ম আসতে চলেছে দেশে। ফলে যারা দীর্ঘদিন ধরে গাড়ির পেছনে নিজের জীবন দিয়ে এলো,তাদের দিন অন্ধকার হচ্ছে আস্তে আস্তে। গত কুড়ি বছরে যে ভাবে,প্রযুক্তির উন্নতি ঘটেছে,তাতে দেশের কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ, পিছিয়ে পড়েছে বা প্রতারিত হচ্ছে প্রতিদিন। তবে পেট্রোল ডিজেলের বর্তমান গাড়িগুলো তেলের অতিরিক্ত দামের জন্য, মানুষ বর্জন করছে খুব দ্রুত। ধারণা অটো মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের। ২০২১ সালে ইলেকট্রনিকস গাড়ি বাজারে বড়ো ভাবে আসছে বলে খবর। যার একবার ব্যাটারি চার্জ দিলে,কমপক্ষে ৪০০-৫০০ কিলোমিটার যাবে।