নির্বাচনের ফলাফলের আগেই নীতীশ কুমারের বিদায়ী ঘণ্টা বাজিয়ে দিলেন আরজেডি নেতা তথা বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। বিহার জুড়ে ১২টি জনসভায় বক্তব্য রেখে কেন্দ্র এবং সে রাজ্যের এনডিএ সরকারকে দোষারোপ করেছেন বিহারের বেহাল দশার জন্যে। বেকারত্ব, পরিযায়ী সমস্যা ছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে সরব হন তেজস্বী যাদব। এবং তাঁর নিশানায় রয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার।
নীতীশ কুমারকে আক্রমণ শানিয়ে তেজস্বী এদিন বলেন, ‘নীতীশজি আর বিহারের দায়িত্বভার সামলাতে পারছেন না। আমরা তাই বিহারের জনগণের কাছে আবেদন করছি আমাদের একটা সুযোগ দিতে। ১৫ বছরে যা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী করে দেখাতে পারেননি, তাই আমরা করে দেখাতে চাই। নীতীশজির বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। তিনি ক্লান্ত। তিনি আর কোনও কাজ করতে পারবেন না।’ পাশাপাশি ফের এদিন সরকারি চাকরির বিষয়ে বলেন তেজস্বী।
তেজস্বীর বক্তব্য সরকারি চাকরির শূন্যপদ ভরতে ব্যর্থ হয়েছে এই এনডিএ সরকার। বিহারের প্রতি ১ লক্ষ জনগণের জন্য মাত্র ৭৭ জন করে পুলিশ কর্মী। আমরা সরকারের এলে এই সমীকরণ বদলাবে। আমরা রাজ্যে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির জন্য শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব প্রথম দিনেই।
পাশাপাশি নেতা এবং মহাগঠবন্ধন জোটের মু্খ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করেন৷ নীতীশ কুমার রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫০ বছর করতে ডিক্রি জারি করেছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে আক্রমণ করেন তেজস্বী৷
তিনি বলেন, ‘সরকারি কর্মচারীদের পঞ্চাশ বছরে অবসর গ্রহণের ডিক্রি জারি করেছেন নীতীশ কুমার৷ কিন্তু তিনি নিজেই সত্তরোর্ধ্ব৷ তবে এবার তাঁকে জনসাধারণ অবসর দিতে চলেছেন৷ যদি, আমাদের সরকার গঠিত হয় তাহলে আমরা অবসরের বয়স বাড়াব৷’ পাশাপাশি বিহারের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা নিয়েও আক্রমণ করেন তিনি৷
এছাড়া এনডিএর মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমারের ১৫ বছরের শাসনকালে বিহারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্পক্ষেত্রে কোনও উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তেজস্বী। নির্বাচনী জনসভায় তেজস্বী যাদব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, নীতীশ কুমার কখনই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উপার্জন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নতিতে নজর দেননি৷
তেজস্বী বলেন, ‘নীতীশ কুমার কোনও দিনই বিরোধীদের কোনও অভিযোগই শুনতে চাননি ৷ যার ফলে বিহারের অধিকাংশ যুবক বাইরের রাজ্যে কাজের জন্য যাচ্ছে৷’ পাশাপাশি তেজস্বী আশ্বাস দেন, আরজেডি-কংগ্রেস জোট সরকারের ক্ষমতায় এলে তারা স্বাস্থ্য, শিক্ষা, উপার্জন ও সেচ ব্যবস্থার জোর দেবে৷