রাজ্যে নিয়মিত ট্রেন চলা নিয়ে আজই নবান্নে রেল-রাজ্য গুরুত্বপূ্র্ণ বৈঠক। তাতেই সমাধান সূত্র মিলবে বলে আশা সবপক্ষের। কিন্তু এর মাঝেও ফের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে সাধারণ যাত্রীরা উঠতে চেয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হুগলীর বৈদ্যবাটিতে। সকালে রেললাইনে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ। থমকে গেল স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। এর আগেও পান্ডুয়া, চুঁচুড়ায় এই কারণেই অশান্তি তৈরি হয়েছিল। রেল-রাজ্য বৈঠকের দিনই তার পুনরাবৃত্তি ঘটল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলীর একাধিক স্টেশনে রেলের স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন যাত্রীরা। আরপিএফের অমানবিক আচরণে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে প্রতিটি স্টেশনে। নিতান্ত কাজের প্রয়োজনে যেসব যাত্রীরা সহজে অনেকটা দূরত্ব যাওয়ার জন্য এসব ট্রেনে উঠেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আরপিএফের হাতাহাতি, ধুন্ধুমার পরিস্থিতি চোখে পড়েছে সর্বত্র। পরপর দু’দিন হাওড়া স্টেশনে এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। রাজ্যে নির্দিষ্ট সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠায় নবান্ন। এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দিতে আজ বিকেলে নবান্নে আসছেন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকরা। সম্ভবত তারপরই লোকাল ট্রেনের চাকা গড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।
আজ রেল-রাজ্যের এই বৈঠক যখন আশার আলো দেখা দিয়েছে, ঠিক সেসময়ই ফের অশান্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠল সোমবার সকালে, বৈদ্যবাটি স্টেশনে। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ালে তাতে উঠতে চেয়ে বাধা পান যাত্রীরা। আর তারপরই তাঁরা রেললাইনে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন। যার জেরে থমকে যায় স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনের চাকা। রেলগেট বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ এভাবে বৈদ্যবাটি স্টেশনে অবরোধের জেরে সংলগ্ন জিটি রোডেও যানজট তৈরি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর রেলপুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। আসে শ্রীরামপুর থানার পুলিশও। তবে কোনও অবস্থাতেই অবরোধ তুলতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। ফলে পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়ে উঠছে। আজ নবান্নে বৈঠকের পর হয়ত এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি দেখা যাবে না, এমনই আশা সকলের।
